আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
এমপির কড়া নির্দেশেও বন্ধ হয়নি মাটি কাটা

ফটিকছড়িতে হালদার চর কেটে সাবাড় করছে স্থানীয় সিন্ডিকেট

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : রবিবার ৫ জুন ২০২২ ০৫:২৮:০০ অপরাহ্ন | চট্টমেট্টো

বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ও জাতীয় মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর চর কেটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট। এতে ১৫৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মানাধিন বেড়িবাঁধ ধসে পড়ার আশংক্ষা তৈরি হচ্ছে। ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নের চৌমুহনীর পুর্বে নতুন পাড়া এলাকায় চর কেটে অনত্র বিক্রি করছে এই সিন্ডিকেট। রশীদ ও বিএনপি নেতা নেজাম উদ্দিনের নেতৃত্ব এসব মাটি কেটে মসজিদ, ঘর-বাড়ি, রাস্তার কাজে ব্যবহার করছে তারা। 

 

সম্প্রতি উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় সাংসদ আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি কড়া হুশিয়ারী দিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন মাটি ও বালু উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে। তিনি প্রশাসনকে কঠোরভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন বন্ধ করতে নির্দেশ প্রদান করেন। এরপরও যেন কতিপয় সিন্ডিকেটগুলো কর্ণপাত করছে না।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন পাড়া এলাকায় হালদা নদীর চরের অনেকটা অংশ মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার ফলে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসময় দেখা যায় মাটি নিতে আসা চারটি চাঁদের গাড়ী সিরিয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এসব মাটি জায়গা ভরাটের জন্য বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মাটি নিতে আসা গাড়ীর চালক। দৈনিক কত গাড়ী মাটি বিক্রি হচ্ছে তার হিসাব রাখার জন্য রাশেদ নামের এক ব্যক্তিকে নিয়োজিত করেছে ঐ সিন্ডিকেট। সে জানায় মালিকানাধীন জায়গা থেকে এসব মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে চাঁদের গাড়ী করে এসব মাটি নিয়ে যাওয়ার কারণে বেড়িবাঁধসহ রাস্তায় মারাত্মক গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ জনগণ, স্কুল, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। এসময় স্থানীয়রা মাটি বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 

এদিকে, হালদার চরে মাটি কাটার দৃশ্য ধারন করতে গেলে বাঁধা প্রদান করেন সিন্ডিকেটের রশীদ, রাশেদ ও নেজাম উদ্দিন নামের তিন ব্যক্তি। তারা এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। পরে, ভিডিও ডিলেট করার শর্তে তারা মোবাইল ফেরত দেয়।

 

সিন্ডিকের প্রধান রশীদ জানান, মালিকানাধীন জায়গার মাটি কিনে নিয়েছেন তারা। এই জায়গার দলিল, খতিয়ান সব তাদের কাছে আছে। তবে, প্রশাসন থেকে মাটি কাটার বিষয়ে কোন ধরনের অনুমতি নেয়নি বলে স্বীকার করেন। পরে, বিভিন্ন মাধ্যমে নিউজ না করার জন্য মিমাংসা করার চেষ্টা করেন তিনি।

 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে,  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানি বলেন, আমরা মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের ব্যাপারে জিড়ো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করছি। সুয়াবিলের যে পয়েন্ট থেকে মাাটি কাটা হচ্ছে সেখানে দ্রুত অভিযান চালানো হবে এবং তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

 

উল্লেখ্য যে, ২০২১ সালের ৯ এপ্রিল সুয়াবিলের লালমাটির বাসিন্দা মুহাম্মদ শাকিল(২০) নামে এক যুবক মাটিচাপা পড়ে এই এলাকায় নিহত হয়।

 

 

 



সবচেয়ে জনপ্রিয়