দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টায় সহকারী রিটার্নিং ও ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী নৌকার প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি পেয়েছেন মোট ১ লাখ ৩৭০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মো. আবু তৈয়ব (তরমুজ) পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮৭ ভোট। সুপ্রীম পার্টির চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী (একতারা) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৩৮ ভোট, স্বতন্ত্র মোহাম্মদ শাহাজাহান (ঈগল) পেয়েছেন ২৫৭ ভোট, মো. হামিদুল্লাহ (মোমবাতি) ১ হাজার ৫২৫ ভোট, মীর ফেরদৌস আলম (চেয়ার) ৫২৫ ভোট, রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী (ফুলকপি) ৩১৩ ভোট, জাতীয় পার্টির মো. শফিউল আজম (লাঙ্গল) ২৫৫ ভোট। এছাড়াও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো চৌদ্দদলীয় জোট নেতা ও এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী (ফুলেরমালা) পেয়েছেন ২১৩ ভোট।
এর আগে, রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৪২ ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ চলে। ভোটের শুরুতে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা বাড়ে। তবে দুপুরের পর অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ভোটার শূণ্য হয়ে পড়ে। তরুণ ও নতুন ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে নিয়োজিত প্রিজাইডিং অফিসার, এজেন্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অলস সময় পার করতে দেখা যায়।
ফলাফল গণনা শেষে শতকরা ৩২ দশমিক ৬৮ শতাংশ ভোট সংগ্রহ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, ‘ফটিকছড়িতে কোন রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট সুষ্ঠু করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন।’
উল্লেখ্য, ফটিকছড়ি উপজেলায় ১৮ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভায় মোট ১৪২ টি ভোট কেন্দ্রে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২লাখ ৩৯ হাজার ৯০২ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ১৬ হাজার ৫৮২জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেন।