অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মুক্তিযোদ্ধা - দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীর প্রতীক) ফটিকছড়ির বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করতে এসে বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ পুনর্বাসন করবে সরকার। আমি নিজেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করতে এসেছি। যাতে আগামী দিনে আমাদের পুনর্বাসন কর্মসূচী সঠিকভাবে প্রণয়ন করা যায়। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা যাতে উপকৃত হয় সেই চেষ্টাই করছি। ক্ষতিগ্রস্তদের নির্বিশেষে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে ফটিকছড়ি উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে মধ্যাহ্নভোজ শেষে সাংবাদিকদের তিনি আরোও বলেন, সম্প্রতি বন্যায় যেখানে ক্ষতি হয়েছে সে ক্ষতি নিরুপণ করার জন্য যেরকম প্রশাসন যুক্ত আছে, একই ভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররাও জড়িত আছে। নারীরাও জড়িত হবে। বিভিন্ন এনজিওরা জড়িত হবে। একেবারে বস্তুনিষ্ঠ নিরুপণ করা হবে। তারপর আসবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন এলাকা ভিত্তিক নয়। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পুরো এলাকাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছি। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যথাযথ ত্রাণ পায় ও পুনর্বাসনের আওতায় আসে।
গত ৩১ আগষ্ট (শনিবার) দুপুরে ফটিকছড়ি বন্যা কবলিত এলাকা ও হালদার বেড়িবাঁধ পরিদর্শনে এসে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এছাড়া তিনি নাজিরহাট পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত হালদা নদীর বেশ কয়েকটি ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রাকিব হাসান, চট্টগ্রাম জেলা ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ মজুমদার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোজান্মেল হক চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভুমি)মেজবাহ উদ্দিন, নাজিরহাট পৌর সভার প্রশাসক আবু রায়হান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফিসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
পরে, মধ্যাহ্নভোজ শেষে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিয়ে অংশ নেন উপদেষ্ট ফারুক ই আজম।