ফটিকছড়ি উপজেলার সুয়াবিল - হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় হাই -ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক খুঁটি না সরিয়ে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করছে শাহিন নামে এক ব্যাক্তি। পুকুরের মধ্যখানে বিপদজনক অবস্থায় এই খুঁটি রেখে খনন কাজ অব্যাহত থাকায় যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে খননকৃত পুকুরেরর সাথে লাগোয়া অন্যের জায়গা জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা। এছাড়াও পুকুর খননের নামে এস্কেভেটর লাগিয়ে কৃষি জমির মাটি কেটে অন্যত্র পাচারের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
২৫ ফেব্রুয়ারি(রবিবার) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সুয়াবিল ও হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রামগড় সেকশন- ১ সড়কের পশ্চিম পাশে স্থানীয় তৌহিদুল আনোয়ার উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্নে কাটা হচ্ছে বিশাল আকারের পুকুর। প্রায় ৯ একর কৃষি জমি বিনাশ করে পুকুর খননে ব্যবহার করা হচ্ছে ৩ টি এস্কেভেটর। এসময় সাংবাদিকের উপস্থিত টের পেয়ে কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা দ্রুত সটকে পড়েন।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা জানান, অন্যত্র থেকে আসা শাহিন নামে এক ব্যবসায়ী কয়েকমাস পূর্বে কৃষি জমিগুলো ক্রয় করেন। পরে পরিমাপ করতে গিয়ে জোর কাটিয়ে স্থানীয় অসহায় বাসিন্দাদের পাশবর্তী টিলা শ্রেণীর জায়গা দখলে নেন তিনি। এছাড়া পুকুর খননের আড়ালে কৃষি জমির মাটি ইট ভাটিতে চড়া মূল্যে সাপ্লাই দিয়ে মোটা অংক হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও তুলেন স্থানীয়রা।
বিদ্যুৎ খুঁটি না সরিয়ে পুকুর খনন ও মাটি বানিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শাহিন কোন সদুত্তর না দিয়ে ফোন রেখে দেন।
বিষয়টি জানতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ২ এর ফটিকছড়ি জোনাল ও নাজিরহাট সাব জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দু সালাম ও এজিএম জাহাঙ্গীর আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে সংশ্লিষ্ঠ এলাকা কার অধীনে পড়েছে তা নিরুপণ না করে সময় ক্ষেপন করে চলেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে রবিবার রাতে অবৈধ ভাবে কৃষি জমি কেটে পুকুর খনন করার অপরাধে তিনটি এস্কেভেটর জব্দ করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। এছাড়া বিপদজনক ভাবে বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখে পুকুর খনন করায় সংশ্লিষ্ঠ বিদ্যুৎ বিভাগকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।