আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও প্রখ্যাত আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, সন্তানদের শুধু পড়ালেখা করিয়ে সনদ অর্জন করলে হবে না। তাদের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে শিক্ষিত লোকের অভাব নাই। মনুষ্যত্বের প্রচুর অভাব রয়েছে। পড়ালেখা করে সনদ নয়, মানুষ হওয়া চাই। আমাদের টাকার অভাব নাই, রয়েছে ভাবের অভাব। সন্তানকে মানুষের মতো গড়তে নিজেদের 'আদর্শ বাবা-মা' হিসাবে ভূমিকা রাখতে হবে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা কক্সবাজার শাখার শাবিনা খতমকারী শিক্ষার্থীদের অনুষ্ঠানে শায়খ আহমাদুল্লাহ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মুসলমানরা কাজে হিম্মতহারা হবে না। সঠিক নিয়তে সম্মুখে এগিয়ে যেতে হবে। সন্তানদের বাঁচাতে মোবাইলফোন টিপাটিপি বন্ধ করতে আহবান জানান শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি বলেন, অনেক বাবা-মা ওয়াজ শুনান নামে মোবাইল টিপাটিপি করে। তার প্রভাব পড়ে সন্তানদের উপর। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সন্তানদের অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা যাবে না। তাদের স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠার সুযোগ দিতে হবে। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, শিশুরা একটা বীজের মতো। তাদের সঠিক পরিচর্যা করতে হবে। কোনভাবে অবহেলা করা যাবে না। তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসা কক্সবাজার শাখার প্রিন্সিপাল হাফেজ রিয়াদ হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা পল্লবির মসজিদুল জুমা কমপ্লেক্সের খতীব শায়খ আবদুল হাই মো. সাইফুল্লাহ, শানে সাহাবা খতীব কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি শামীম মজুমদার, কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক মুফতি সাঈদ আহমদ। শাখা কো-অর্ডিনেটর আবু সায়েম মোহাম্মদ ফোরকানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কক্সবাজার আলীর জাহাল ইসলামিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা রফিক বিন সিদ্দিক, আম্মাজান শেরওয়ানি এন্ড পাঞ্জাবি বিতানের স্বত্বাধিকারী শহিদুল ইসলাম বাবুল, দৈনিক ইনকিলাবের কক্সবাজার ব্যুরো চীফ শামসুল হক শারেক, বিশিষ্ট দন্ত চিকিৎসক ও সার্জন ডাক্তার মীম ইকবাল আহমাদ, কক্সবাজার অনলাইন প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ইমাম খাইরসহ মান্যগণ্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে তানযীমুল উম্মাহ গার্লস হিফয শাখার অধ্যক্ষ হাফেজ ক্বারী ইয়াহিয়া মানিক, গার্লস মাদরাসার কো-অর্ডিনেটর মো. শরিফ, প্রি-হিফজ সেকশনের সহকারি কো-অর্ডিনেটর মিজানুর রহমান, নাজেমে তালিমাত শামসুদ্দিন, শিক্ষক আজিজুল হক, মুহাম্মদ উল্লাহ, আব্দুল্লাহ আল আরাফাত, রমজান আলীসহ শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। শেষে শবিনা খতমকারী ৮ জন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।