অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। এ সময় আদালতে ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারন উপস্থিত ছিলেন।
প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের আইনজীবী সমীর দাশগুপ্ত বলেন, প্রদীপ ও চুমকি কারনের পক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ দুদক প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। দুদকের আনা অভিযোগ মিথ্যা। তাদের নির্দোষ প্রমাণে সক্ষম হয়েছি। সেই সঙ্গে আদালতে আসামিদের খালাস চাওয়া হয়েছে। আমাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়নি, আদালত আগামী ১৪ জুলাই যুক্তিতর্কের জন্য ধার্য করেছেন। আদালতে প্রায় ২ ঘণ্টা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী প্রদীপ কারাগারে থাকলেও তার স্ত্রী চুমকি পলাতক ছিলেন। গত ২৩ মে আদালতে চুমকি কারন আত্মসমর্পণ করেন।
প্রদীপ কুমার দাশ ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ গোপন করতে নগরের কোতোয়ালী থানাধীন পাথরঘাটা এলাকার একটি ছয়তলা বাড়ি শ্বশুরের নামে নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে ওই বাড়িটি প্রদীপ দাশের শ্বশুর চুমকি কারনের নামে দান করেন। দানপত্র দলিল হলেও বাড়িটি প্রদীপ দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারন কর্তৃক অর্জিত। আয়কর রিটার্নে আসামি চুমকি কারনের কমিশন ব্যবসা এবং বোয়ালখালী উপজেলায় ১০ বছরের জন্য লিজ নেওয়া পাঁচটি পুকুরে মাছের ব্যবসার যে আয় দেখানো হয়েছে তাও প্রদীপ দাশের অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে ভুয়া ব্যবসা প্রদর্শন করে দেখানো হয়েছে। প্রদীপ তার স্ত্রীকে কমিশন ব্যবসায়ী ও মৎস্য ব্যবসায়ী সাজিয়ে অবৈধ সম্পদ বৈধ করার চেষ্টা করে।