আজ শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর সহজ ৫ উপায়

নিউজ ডেস্ক > | প্রকাশের সময় : রবিবার ৬ নভেম্বর ২০২২ ১০:৪৩:০০ অপরাহ্ন | স্বাস্থ্য

ভারতীয় সেলিব্রেটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকারের রয়েছে অসংখ্য অনুসারী। শুধু তাই নয় স্বাস্থ্যকর খাবার, ওজন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তার লেখা বইও রয়েছে। সম্প্রতি তিনি পিরিয়ডের সময় ব্যথা দূর করার কিছু উপায় সম্পর্কে জানিয়েছেন। পিরিয়ডের সময় ব্যথার ধরন সবার ক্ষেত্রে এক নয়। এটি কারও ক্ষেত্রে হালকা আবার কারও ক্ষেত্রে প্রচণ্ড হতে পারে। গর্ভের পেশীতে সংকোচনের কারণে ব্যথা হয় যা হালকা থেকে গুরুতর হতে পারে। পিরিয়ডের ব্যথা সাধারণত এর প্রথম দিনেই শুরু হয়। এই ব্যথা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এক থেকে দুইদিন পর্যন্ত থাকে। এটি ভেতরের কোনো অসুখের কারণে হতে পারে আবার নাও হতে পারে। সাধারণত পেইন কিলার বা অন্যান্য ঘরোয়া সমাধানের মাধ্যমে এই ব্যথা কমানো হয়।

 

রুজুতা দিওয়েকার তার এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেছেন, যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় তাদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রতি মাসে এই ব্যথার মধ্য দিয়ে যান। এই ব্যথা কমানোর জন্য কিছু টিপস মেনে চলা যেতে পারে। তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেন-

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ৫ টিপস

 

১. পিরিয়ড শুরুর এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিদিন সকালে কিশমিশ ও জাফরান ভেজানো পানি পান করুন।

 

২. প্রতিদিনের খাবারে একটি করে লেবু রাখুন।

 

৩. মাটির নিচের সবজি যেমন ওলকচু, মিষ্টি আলু, মেটে আলু, ইত্যাদি সপ্তাহে অন্তত দুইদিন খান।

 

৪. প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট ব্যায়াম করবেন।

 

৫. প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট (ক্যালসিয়াম সাইট্রেট) খেয়ে নিন।

 

 

পিরিয়ডের সময় প্রচণ্ড ব্যথা ডিসমেনোরিয়া নামেও পরিচিত। এই ব্যথা সাধারণত তলপেট এবং পেলভিক এরিয়ায় অনুভূত হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পিরিয়ডের ব্যথা কোমর, নিতম্ব, উরু ও পায়েও ব্যথা হতে পারে। পাঁচদিনের ভেতরে সাধারণত তিনদিনের মতো ব্যথা থাকতে পারে। তবে প্রথম দুইদিন ব্যথা অনেক বেশি হতে পারে। পিরিয়ডের এই সময়টাতে সব ধরনের কাজ করাই কষ্টকর হয়ে যায়। ব্যথা অসহ্য হলে সাধারণ চলাফেরাও সম্ভব হয় না।

 

তাৎক্ষণিক ব্যথা কমানোর জন্য ব্যথার জায়গায় হট ওয়াটার ব্যাগ থেরাপি ব্যবহার করা যেতে পারে। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খেয়ে নিজেকে ফিট রাখাও জরুরি। যদি ব্যথা বাড়তেই থাকে তবে দ্রুত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।