চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় কাউন্সিলর মো. নাছের আলী(৪৯)কে হত্যার দেয়ার অবিযোগ উঠেছে প্রবাস ফেরত মো. রুবেল ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে।
নাছের বোয়ালখালী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে রুবেলসহ তিনজনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালখালী পৌরসভার পশ্চিম গোমদন্ডী ৭নং ওয়ার্ডের নুরুল্লাহ তালুকদারপাড়ার বাসিন্দা মো. রুবেল সম্পর্কে কাউন্সিলর মো. নাছের আলীর চাচাতো শালা ও আজিজুল হক তার চাচা শ^াশুড় হয়। ২০১৭ সালে রুবেল ও নাছের ওমান প্রবাসে থাকারস্থায় নাছের আলীর কোম্পানী আরবী অলিদ এর কাছ থেকে তার জিম্ময় বাংলাদেশী টাকায় ৪২ লক্ষ টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে রুবেল দেশে ছুটিতে এসে আর ওমানে ফেরত যায়নি। রুবেলের পিতা মো. আজিজুল হক ২০১৬ সালে তার মালিকানাধী ৬ শতক জায়গায় ৪তলা বিল্ডিং বন্ধক দিয়ে উত্তরা ব্যাংক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ নেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে কাউন্সিল নাছের সুদে আসলে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা ওই ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করে ৪তলা ভবনটি ব্যাংকের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেনে। পরে নাছের তার পাওয়না এসব রুবেল ও আজিজুলের কাছে ফেরত চাইলে তারা বাপ ছেলে নানা অজুহাতে নাছেরকে ঘুরা ঘুরি করিয়ে কালক্ষেপন করতে থাকে। পরে নাছের যদি তার পাওনা টাকা দাবী কওে তাহলে তাকে ও তার পরিবারের লোজনকে প্রাণে হত্যা করবে বলে রুবেল ও আজিজুল হুমকী প্রদান করেন। এ ঘটনায় কাউন্সিলর নাছের বিষয়টি জানিয়ে বোয়ালখালী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী বোয়ালখালী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. নাছের আলী বলেন, আত্মীয়তার খাতিরে বিপদের সময় তাদের টাকা দিয়ে সহযোগীতা করে এখন নিজে ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণ বিপদের মুখে টেলে দিয়েছেন। রুবেল ও আজিজ এখন তাকে নানাভাবে সরাসরি ও ফোনে হত্যার হুমকী ও হয়রাণী করছেন।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. রুবেল ও আজিজুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো. আবদুল করিম বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত কওে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।