কক্সবাজারে পর্যটক নারী ধর্ষণের ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ইতোমধ্যে ভ্রমণকারী পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:
১) সকল আবাসিক হোটেলে রুম বুক দেয়ার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন ও দাখিল আবশ্যক।
২) আবাসিক হোটেলসমুহে অনুসরণীয় একটি অভিন্ন আদর্শ কর্মপদ্ধতি (এসওপি) প্রনয়ণ করা হবে।
৩) প্রতিটি হোটেলে কক্ষ সংখ্যা, মূল্য তালিকা ও খালি কক্ষের সংখ্যা সম্বলিত ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করতে হবে।
৪) পর্যটকদের সুবিধার্থে ডলফিন মোড়ে সুবিধাজনক স্থানে একটি তথ্যকেন্দ্র ও হেল্পডেস্ক থাকবে।
৫) প্রতিটি আবাসিক হোটেলে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু/জোরদার করতে হবে।
৬) হোটেল-মোটেল জোনে অবৈধ পার্কিং এবং সমাজবিরোধীদের কর্মজান্ড বন্ধে অভিযান জোরদার করা হবে।
৭) হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করবে। তাতে সহায়তা করবে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান, ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো: জিললুর রহমান, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, সহসভাপতি মো: রেজাউল করিম, প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু তাহেরসহ পর্যটন শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।