আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পরিবেশের ৪ মামলা, সড়ক উন্নয়নের অন্তরালে পাহাড় কেটে সাবাড়

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি | প্রকাশের সময় : শনিবার ৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৬:০৩:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

ফটিকছড়িতে সড়ক উন্নয়নের অন্তরালে চলছে সংরক্ষিত বনের টিলা ও পাহাড় কেটে মাটি ব্যবসা। পরিবেশ ও ভূমি আইন উপেক্ষা করে প্রকাশ্যে স্কেভেটর দিয়ে রাত–দিন সমানে কাটা হচ্ছে পাহাড়–টিলা। গত বুধবার চট্টগ্রাম বন ও পরিবেশ আদালতে এ ব্যাপারে চারটি মামলা দায়ের করেন চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ। এদিকে প্রশাসনের একের পর এক ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান ও মামলা দায়েরের পরও থামছে না সংরক্ষিত বনাঞ্চলের নির্বিচারে টিলা-পাহাড় নিধন। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এসব মাটিখেকোরা।

 

বনবিট অফিস সূত্র জানায়, ফটিকছড়ির বাগান বাজার ইউনিয়নের পানুয়া, উদয় পাথর, হলুদিয়া, রসুলপুর, কচুয়া খোন্দা, আঁধারমানিক, নয় দোলন, চৌদ্দ দোলন, রহমতপুর আজিজের দোকান এলাকায় সড়ক উন্নয়নের অজুহাতে প্রকাশ্যে স্কেভেটর দিয়ে রাত দিন কাটা হয়েছে অসংখ্য পাহাড় ও টিলা। এছাড়া মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার পর সমতল হওয়া টিলা বা পাহাড়ি বনভূমি দখলে নিচ্ছে স্থানীয় ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট। আবার কোথাও কোথাও টিলা বা পাহাড় কাটা এসব মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে কৃষি ও ফসলি জমি। সংরক্ষিত বনের টিলা ও পাহাড় কেটে এসব মাটি বিক্রি করে আসছেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।প্রকাশ্যে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটলেও সিন্ডিকেটটি প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করা সাহসও পাচ্ছে না।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, বাগান বাজার ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকা চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের সংরক্ষিত বনের জায়গা। বিগত সময়ে এখানকার পুরো বনাঞ্চল কেটে উজাড় করেছে স্থানীয় ক্ষমতাসীন সিন্ডিকেট। এখন শুরু করেছে টিলা আর পাহাড় নিধন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সিন্ডিকেটটি বন বিভাগের টিলা বা পাহাড় নিধনের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। তারা নিচ্ছে না পরিবেশ অধিদফতরের কোনো অনুমতি। এতে একদিকে যেমন জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে, অন্যদিকে পাহাড়ের একটি অংশ খাড়াভাবে কেটে নেওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ের বাকি অংশ ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

 

এদিকে সম্প্রতি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাহাড় ও টিলা কাটার সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের করেরহাট রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক হারুন উর রশিদ। তিনি বলেন, 'কোনো ধরনের পুর্বানুমতি ছাড়াই একটি সিন্ডিকেট এসব পাহাড় ও টিলা কেটে সাবাড় করছে। পুরো এলাকা পরিদর্শন করে পাহাড় কাটার সাথে সংশ্লিষ্ট ১২–১৪ জনের বিরুদ্ধে গত বুধবার মোট চারটি পিওআর মামলা দেয়া হয়েছে।'