আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নির্বাচনে আমাদের কোনো প্রার্থিতা নেই, প্রপাগান্ডাও নেই - আল্লামা মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী

সালাহউদ্দিন জিকু, ফটিকছড়ি : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৫০:০০ অপরাহ্ন | উত্তর চট্টগ্রাম

হেফাজতে ইসলাম কোন রাজনৈতিক দল নয়, জাতীয় ও আঞ্চলিক নির্বাচনে আমাদের কোনো প্রার্থিতা নেই, প্রপাগান্ডাও নেই। কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে আমাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরা বারবার বলেছি, এখনো বলছি, কাউকে ক্ষমতায় বসানো বা ক্ষমতা থেকে নামানো আমাদের এজেন্ডা নয়। হেফাজতের ব্যনারে কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ড করার সুযোগও নেই। এদেশে মুসলমানদের ঈমান-আকিদা ও ইসলামী তাহজীব-তমদ্দুন রক্ষার উদ্দেশ্যে এই সংগঠনটি গঠিত হয়। তাই আমরা শুধু কর্মী শিক্ষা, সংস্কৃতি ও তাহজিবের বিকাশ এবং নাস্তিক্যবাদের প্রতিরোধে কাজ করে যাবো। ক্ষমতাকেন্দ্রিক কোনো ধরনের নৈতিক উচ্চাভিলাষ এই সংগঠনের নেই। যা আগেও বহুবার আমরা পরিষ্কার করে বলেছি। 

 

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফটিকছড়ির জামেয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম (বাবুনগর) মাদ্রাসায় হেফাজত ইসলামের নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে আমিরে হেফাজত আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, আমাদের কাজ, সাধারণ জনগন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সকল নাগরিকদের কাছে দ্বীনের সহীহ দাওয়াত পৌঁছানো। এটিই আমাদের মূল দায়িত্ব। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে ধর্ম অবমাননা ও কটূক্তির সব প্রয়াস বন্ধ করে দেয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা সর্বদা অব্যাহত থাকবে ইনশা আল্লাহ। হেফাজত তার সুনির্দিষ্ট রূপ-রেখা, ১৩ দফা দাবি সুন্দর ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। 

 

তিনি আরও বলেন, 'আমরা সরকারের শত্রু নই, বন্ধুও নই। সরকারের কাজ সরকার করুক, আমাদের কাজ আমরা করব। তবে নাস্তিক্যবাদী শক্তি যদি মাথাচাড়া দেয় এবং কোরআন, আল্লাহ,

রাসুল (সা:), উম্মাহাতুল মুমিনিন, আসহাবে রাসূল (সা.) এর শানে কটূক্তি ও ঘৃণা প্রচার করে এবং ইসলামবিদ্বেষ ছড়ায়, আর এতে জন্য যদি কোন অ্যাকশন না নেয়, অথবা সরকার যদি নিজের পক্ষ থেকে এমন কোন পদক্ষেপ নেয় যা ইসলামী শরীয়াহ পরিপন্থি, তাহলে ঈমানের তাগিদে আমরা তার প্রতিবাদ করব এবং প্রয়োজনে সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার নিয়ে আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। নিঃস্বার্থভাবে সরকারকে নসিহত করা বা সৎ পরামর্শ দেয়া একটি মহৎ কাজ বরং ঈমানী দায়িত্ব।'

 

এদিকে ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদ্রাসায় কেন্দ্রীয় আলেমার বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আল্লামা মুফতী খলিলুর আহমাদ কাসেমী, মাওলানা মাহফুজুল হক, আল্লামা সালাহ উদ্দিন নানুপুরী, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা আবদুল আউয়াল, ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা সরোয়ার কামাল আজিজী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, মুফতী হাবীবুর রহমান কাসেমী, মুফতি মোবারক উল্লাহ, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ, মাওলানা খোবাইব, মুফতী হারুন ইজহার, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা জালাল উদ্দিন, মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির, মুফতি মুহাম্মদ আলী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মুফতী মাসঊদুল করীম, মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, এ্যডভোকেট মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা মাহবুবুল হক কাসেমী, মাওলানা জাকারিয়া নোমান, মুফতী কামরুজ্জামান সহ দুই শতাধিক নেতৃবৃন্দ।