দু'বছর পর যৌবন ফিরে পেয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ির নদী-খাল- বিল-ছড়া।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে নদী এবং খাল- বিল এবং ছড়াতে।
শনিবার ( ৫ আগষ্ট) সকাল থেকে বিকেল নাগাদ উপজেলার প্রধাননদী বাঁকখালী আর সদর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হওয়া নাইক্ষ্যছড়ি খালসহ অপরাপর খাল-বিল গুলোর খবরাখবর নিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
সূত্র আরো জানা গেছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রধান নদীর নাম বাঁকখালী। এটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমানা পৃথক করা নাইক্ষংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের বুচি পাহাড় থেকে সৃষ্ট।
যে টি দৌছড়ি ইউনিয়ের কামিছড়া হয়ে ছাগলখাইয়া দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নিচে নেমে যায়। পরে ককসবাজার জেলা হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশে যায়।
বর্তমানে এ নদীতে এমন পানি চোখে পড়েছে ২ বছর পর। পুরো নদী যেন যৌবন ফিরে পেয়েছে। পানিতে দু'কূল ভরে গেছে। যা গত ২ বছরে চোখে পড়ে নি। একই দৃশ্য
নাইক্ষ্যংছড়িখাল,গর্জনখাল,লংগদুখালআলিয়ানখাল,ফাঁসিয়াখারখাল,কামিখাল,দৌছড়িখাল,জামছড়িখাল,রেজুখাল ও নাফনদীর আগা তথা তুমব্রু খাল সহ অপরাপর সব খাল।
এদিকে,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বাঁকখালী নদী ছাড়া সবচেয়ে বেশী খাল রয়েছে দোছড়ি ও বাইশারী ইউনিয়নে । এ দু''ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যথাক্রমে মো: ইমরান ও মোহাম্মদ আলম কোম্পানী এ প্রতিবেদককে বলেন,গত কয়েক বছর আশানুরূপ বৃষ্টি হয় নি তাদের এলাকায়। এ কারণে মানুষ কষ্ট পেয়েছে কল্পনা অতীত। বিশেষ করে কৃষকদের ধান,বাগান ও অন্যান্য ক্ষেতে দেখা দিয়েছিলো অনাবৃষ্টির দারুণ প্রভাব। খরাতে খুবই কষ্ট পেয়েছিলো গেল ২ বছর।
তারা আরো বলেন,এভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় উঁচু ভূমিতে চাষাবাদ করতেই পারেননি এ সময়।
এ কারণে অনেক কৃষকের পরিবারে বছরের খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়েছিল দীর্ঘদিন । ঠিক এ বছরও তারা মনে করেছিলো আগের বছরের মত শনির দশা নেমে আসবে তাদের কপালে।
কিন্তু দেরীতে হলেও হচ্ছে বৃষ্টি যথাযত ভাবে। ১১ শ্রাবণ থেকে বৃষ্টির দেখা মিলে এখানে।
তাদের এলাকায় থাকা সব খাল,ছড়া,ঝিরি ও বিল এখন সচল হয়ে নদী-খাল-যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নৃ-গোষ্ঠীর নেতা উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মংহ্লা ওয়াই মার্মা বলেন, গত ২ বছর ধরে নাইক্ষ্যংছড়িতে বৃষ্টি হয়েছে খুব কম। খালে-বিলে পানির দেখা মিলেনি তেমন।
কিন্তু শ্রাবণের শেষে এসে বৃষ্টি হচ্ছে। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে নাইক্ষংছড়িতেও। এ কারণে এখানকার নদী,খাল, বিল পানিতে ভরে গেছে-যেন হারানো যৌবন ফিরে পেয়েছে সবগুলোই।
এছাড়া কৃষি নির্ভর পরিবার গুলোতে খুশির জোয়ার বইছে।