ধর্ষণের মামলায় চট্টগ্রামে ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সাজা দিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের এক হোটেলে সাড়ে ১৫ বছর আগে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ১ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মুরাদ এ মাওলা সোহেল এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি জেসমিন আক্তার দৈনিক সাঙ্গুকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে মামলার একমাত্র আসামি মো: সুমনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সাজা দিয়েছে আদালত। আসামি মো: সুমন রায় ঘোষণার সময় ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন না। শুরু থেকেই পলাতক।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া মো: সুমন কোতোয়ালি থানাধীন রিয়াজউদ্দিন বাজারের গোসত গলিতে কাপড়ের দোকানে কাজ করে সোনিয়া সু ফ্যাক্টরিতে থাকতেন। তিনি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানাধীন উলদানিয়া এলাকার মজুমদার বাড়ির আবু তাহেরের পুত্র।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৫ অক্টোবর নোয়াখালী জেলার সেনবাগ থানা এলাকার চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানাধীন পূর্ব মাদার বাড়ী এলাকায় ইউছুপ জমিদারের এক ভাড়াটিয়া নারী (ভিকটিম) রিয়াজউদ্দীন বাজারের ফুটপাত থেকে কাপড় কিনতে পছন্দ করার সময় ভিকটিমের দূর সম্পর্কের চাচাতো ভাই মো: সুমন এর সাথে দেখা হয়। তখন সুমন ভিকটিমকে বলে রিয়াজউদ্দিন বাজারের ভিতরে আরও ভালো কাপড় আছে সেখানে চলো। সুমনের কথামতো রিয়াজউদ্দিন বাজারের ভিতরে গেলে ভিকটিমকে ভয় দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক রিয়াজউদ্দিন বাজারের রয়েল হোটেল এর ৬ষ্ট তলার ৬০২ নাম্বার রুমে নিয়ে গিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিকটিমকে।
পরে ঘটনাটি নিয়ে ভিকটিম নিজেই বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা করেন। কোতোয়ালি থানার মামলা নং ৩৬(১০)২০০৮।
এরপর ২০০৯ সালের ১২ জানুয়ারি ঘটনার তদন্ত শেষে ১২ জনকে সাক্ষী করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে ২০১০ সালের ২৪ জানুয়ারি এই মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৩০ জুন রবিবার আদালত রায় দেয়।