দেশের বাজারে শৌখিন রসনাবিলাসীদের প্রথম পছন্দ বেশি ঝাঁজের দেশি পেঁয়াজ। আকারে বড় দেখতে সুন্দর এবং দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় চট্টগ্রামে রাজত্ব করতো ভারতের পেঁয়াজ।
কিন্তু এবার কোরবানির বাজারে খাতুনগঞ্জে রাজত্ব করছে দেশি পেঁয়াজ।
কোরবানির বাকি প্রায় ২৩-২৪ দিন।
গত বছর এমন দিনে প্রচুর বেচাকেনা ছিল আড়তে। এবার বেচাকেনায় ভাটা।
এর পেছনে অনেক কারণ জানালেন আড়তদারেরা। অন্যতম কারণ হচ্ছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে, ডলারের দাম বাড়ায় বিভিন্ন খাতে প্রভাব পড়েছে। তা ছাড়া চৌধুরী হাট, শান্তিরহাট, দোহাজারী, পাহাড়তলী, রামু, কক্সবাজার, পতেঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজের আড়ত গড়ে উঠছে।
বুধবার (২২ মে) সকালে মেসার্স বাচা মিয়া সওদাগরের ব্যবস্থাপক ইমন জানান, মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতা কম। ভারতের পেঁয়াজ ছোট ৬২ থেকে বড় ৭০ টাকা।
মেসার্স মিতালী ট্রেডার্স মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, পাবনার পেঁয়াজ আছে আমাদের আড়তে। কেজি ৬৬ টাকা। গতকালের চেয়ে এক টাকা বেড়েছে।
পেঁয়াজে সরকারের বিশেষ নজর আছে। ভারতের পেঁয়াজ আমদানির পথ খোলা আছে। দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়লে আমদানি বেড়ে যাবে। ফলে বাজারে অযৌক্তিক অস্থিরতা হওয়ার সুযোগ নেই।
কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, রাজশাহীর পেঁয়াজ আছে আড়তে। সুবিধা হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ সহজে পচে না।
তিনি জানান, আড়তদার কেজিতে ৭০ পয়সা কমিশন পায় বেপারির কাছ থেকে। ৩০ পয়সা ক্রেতা দেবে। লেবার খরচ ১২- ১৫ টাকা।
মেসার্স জনতা এন্টারপ্রাইজে আজম হায়দার জানান, ভারতের বড় পেঁয়াজের দাম চাওয়া হচ্ছে ৭০ টাকা। কিন্তু চাহিদা কম।
দেশি পেঁয়াজের দাম কম ও মান ভালো হওয়ায় চাহিদা বেশি। দেশি পেঁয়াজের বস্তায় পচা, গলা কম। ৬৪-৬৫ টাকা কেজি। স্পেশাল বড় পেঁয়াজ ৬৮ টাকা। চীনা রসুন ১৮৪, দেশি রসুন ১৭৫ টাকা।
আল আরব বাণিজ্যালয়ে চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২০৫ টাকা।
লোহাগাড়া পদুয়া থেকে পাইকারি পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন মো. সাজ্জাদ। এক দিন পর পর ৩৫-৪০ বস্তা পেঁয়াজ নিয়ে যান। দুই দিনে দুই টাকা বেড়েছে। এবার দেশি পেঁয়াজ চলছে বেশি। পচা গলা নাই বললেই চলে। প্রতি কেজিতে ২ টাকা খরচ পড়ে।
খুচরায় মুদির দোকানে দেশি পেঁয়াজ ৬৫-৭০, রসুন ২০০, আদা ২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। রিকশাভ্যানে তুলনামূলক দাম কিছুটা কম।