টেকনাফে মোবাইলের ভিডিও অপসারণ নিয়ে তুচ্ছ এ ঘটনার জের ধরে ছুরিকাঘাতে সালমান নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
নিহত যুবক হ্নীলা ইউনিয়নের নাটমোরা পাড়ার মাওলানা আব্দুল খালেকের পুত্র সালমান। বুধবার রাত ১০ টারদিকে দক্ষিণ ফুলের ডেইলের জনৈক হেলালের দোকানের পাশে জনৈক কায়সারের বাড়ির রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার রাত ১০ টার দিকে গ্রামের একটি দোকানে বসে কয়েকজন বন্ধু আড্ডা দিচ্ছিল। এসময় একই ইউনিয়নের ফুলের ডেইল গ্রামের জাফর ওরফে মাইক জাফরের সাথে একটি মোবাইলে থাকা ভিডিও নিয়ে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় জাফর ওরফে মাইক জাফর উপর্যুপরি সালমানের বুকে ছুরিকাঘাত করে। এতে সালমান গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে ঢলে পড়লে পাশে থাকা অন্যান্যরা দ্রুত হ্নীলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরন করে। হাসপাতালে সালমানের মৃত্যু হয়।
এদিকে মোবাইলে কার বা কি ধরনের ভিডিও ছিল তা এখনো সঠিক জানা যায়নি। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত লাশ কক্সবাজার মর্গে রয়েছে। এবং জাফর ওরফে মাইক জাফরও আহতাবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এঘটনায় এলাকায় যুব সমাজের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অভিযুক্ত জাফর ওরফে মাইক জাফর কে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দাবী করছেন সচেতন মহল।
এব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি তদন্ত নাছির উদ্দীন মজুমদার জানান- এখনো পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে আমরা খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর থানাকে বিষয়টি অবহিত করেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ, টেকনাফ উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে গত ৪ দিনে ৫ টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। অপহরন, খুন, ঘুম, ধর্ষণসহ সামাজিক অবক্ষয় সহ আইন শৃংখলা বেশ অবনতি ঘটেছে। এমন অভিযোগ টেকনাফের মানুষের।
তাই জনপ্রতিনিধি ও সমাজপতিদের এগিয়ে এসে সৎ সাহস নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী বিষয়গুলো নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি কঠোর ভাবে দমনের দাবী জানান সাধারণ মানুষ।