টেকনাফে পৃথক দু’টি অভিযানে ২ কেজি ১৩০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ৯ হাজার ৪"শত পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ মহিউদ্দীন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান- শুক্রবার রাতে নাজিরপাড়া বিওপি’র বিআরএম-৫ হতে ২ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে নাজিরপাড়া গ্রাম থেকে মাদকের একটি চালান পাচারের সংবাদ পায়।
এমন সংবাদে নাজিরপাড়া বিওপির একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল ওই এলাকার প্রধান সড়কের উপর উঠলে দূর থেকে সন্দেহভাজন একজন ব্যক্তিকে দেখতে পায়। এ সময় টহলদল উক্ত ব্যক্তিকে ধাওয়া করলে দ্রুত দৌড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামে পালিয়ে যায়। এসময় তার হাতে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে দেয়।। পরে টহলদল চোরাকারবারীর ফেলে যাওয়া ব্যাগের ভিতর থেকে ৯ হাজার ৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট (মালিকবিহীন অবস্থায়) জব্দ করা করে।
এদিকে, অপর একটি অভিযানে শনিবার (২৯ জুলাই) ভোররাতে টেকনাফ বিওপি’র বিআরএম-৭ হতে আনুমানিক ১০০ গজ উত্তর-পশ্চিমে দিকে নাইট্যংপাড়া এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান প্রবেশের খবরে সদর এবং টেকনাফ বিওপি থেকে দুইটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে কেওড়া বনের আঁড় নিয়ে কৌশলে অবস্থান গ্রহণ করে। কিছুক্ষণ পর টহলদল দুইজন ব্যক্তিকে নাফনদী অতিক্রম করে সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ৫০০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আসতে দেখে। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় বিজিবি টহলদল চ্যালেঞ্জ করলে হাতে থাকা একটি পোটলা ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে রাতের অন্ধকারের সুযোগে দ্রুত পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরে টহলদল ওই স্থানে তল্লাশী চালিয়ে একটি পোটলার ভিতর থেকে ২ কেজি ১৩০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস (মালিকবিহীন অবস্থায়) উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের ষ্টোরে জমা রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনী কার্যক্রম গ্রহণ করে পরবর্তীতে তা উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হবে।