টেকনাফে ৫ কেজি ২৬৮ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ৫ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে এসময় কোন পাচারকারীকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
গত মঙ্গলবার নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) কর্নেল মো. জিল্লাল হোসেন ব্যাটালিয়নের সম্মেলন কক্ষে বুধবার বিকাল ৩ টায় সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, মিয়ানমার থেকে মাদক আসার গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবি জওয়ানরা কয়েকটি উপদলে নাফ নদীতে কৌশলগত অবস্থান করে। এক পর্যায়ে একটি নৌকাকে চ্যালেঞ্জ করলে নৌকায় অবস্থানরত চোরাকারবারীরা বিজিবি'র টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে নাফ নদীতে লাফিয়ে শূন্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমারের সীমানায় পালিয়ে যায়। এসময় চোরাকারবারীদের ফেলে যাওয়া নৌকাটি তল্লাশী করে ছয়টি প্লাষ্টিকের ব্যাগে মোড়ানো প্যাকেট উদ্ধার করে টহলদল। পরে প্যাকেটের ভিতর হতে ৫ কেজি ২৬৮ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ৫ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট মালিকবিহীন অবস্থায় উদ্বার করা হয়। মাদককারবারীদের আটকের জন্য অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।
রিজিয়ন কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) কর্নেল মো. জিল্লাল হোসেন আরো জানান, সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক পাচার ও চোরাচালান রোধে সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করে আসছে। বড় বড় মাদকের চালান আটকের সময় আসামী না থাকার প্রশ্নে তিনি বলেন, বিজিবির অবস্থান টের পেলে পাচারকারী দল সূ-কৌশলে শূণ্য লাইন অতিক্রম করে মিয়ানমার অভ্যন্তরে চলে যাওয়ার ফলে আটক করা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে মিয়ানমারের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে যৌথ অভিযানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এবং মাদকের বিরোদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে যথাযথ ও কার্যকরীভাবে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বিজিবি।
এসময় রামু সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. মেহেদী হোসাইন কবীর ও টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. মহি উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।