আজ মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

টুকু-পলক-সৈকতের নির্দেশেই হত্যাকাণ্ড: পুলিশ

সাঙ্গু ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৫ অগাস্ট ২০২৪ ০৬:২৪:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের নির্দেশেই কামাল মিয়া নামে এক রিকশাচালককে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালতে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ এই দাবি করেন।

 

এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. ইউসুফ আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

 

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংগঠনের নেতা। ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশের কোটা বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় অবস্থান করলে তাদের নির্দেশে ও হুকুমে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তা থেকে সরানোর জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে এলোপাথারিভাবে গুলি করে। এতে ভিকটিম কামাল মিয়া গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আসামিদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে এসে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মামলার ঘটনা সম্পর্কিত সুস্পষ্ট তথ্য সংগ্রহ, ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার ও মূল রহস্য উদঘাটন সম্ভব হবে। এজন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডে আনা প্রয়োজন।

 

রাষ্ট্রপক্ষ ১০ দিনের রিমান্ডই মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এই আসামিদের নির্দেশেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তাদের ১০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করি।

 

এদিকে আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী আতাউর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

 

এরআগে বেলা ৩টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। শুনানিকালে তাদের এজলাসে তোলা হয়। তাদের এজলাসের পিছনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এতে আপত্তি তোলেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। আসামিদের খাঁচায় রাখার জন্য হই-হল্লা করতে থাকেন আইনজীবীরা। এরই মাঝে শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

 

এদিন, বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বলতে থাকেন, পলক কই, পলক কই। ওর ফাঁসি চাই। অন্যান্য আসামিদেরও ফাঁসির দাবি জানান তারা।

 

জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর খিলক্ষেত থানার নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় ১২তম জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে পল্টন থানার একটি মামলার প্রেক্ষিতে রাতে গ্রেফতার করা হয়।