দেশে এই পর্যন্ত যতগুলো সরকার অতিবাহিত হয়েছে সব সরকারই পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা রাখেনি। কারো সদিচ্ছার প্রতিফলন দৃশ্যমান নয়। আইন থাকলেও সঠিক প্রয়োগ নাই। সরকারের উদাসীনতার কারণে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। জীবন ও জীববৈচিত্র্যের প্রয়োজনে পরিবেশ রক্ষায় আমাদের আন্তরিক হতে হবে।
রবিবার (৬ আগস্ট) প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালায় এসব কথা উঠে আসে।
পর্যটন শহরের একটি অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় পরিবেশ-প্রকৃতি দূষণ এবং উত্তরণের রূপরেখা উপস্থাপন করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর কো-অর্ডিনেটর ও দেশের বিশিষ্ট পরিবেশ গবেষক শরীফ জামিল।
তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষা করতে হলে আমাদের চারপাশে ব্যাপক গণসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি সামাজিকভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এই কাজে আপোষ করা চলবে না। কোথাও পরিবেশের ক্ষতিকর কর্মকাণ্ড পরিচালিত হলে পরিবেশকর্মীরা বসে থাকতে পারে না।
জাতীয় নদী জোট, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এবং গ্রীন কক্সবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন দুইদিন ব্যাপী কর্মশালাটি আয়োজন করে। প্রায় অর্ধশত পরিবেশকর্মী এতে অংশ গ্রহণ করেন। তারা নিজ নিজ এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
জাতীয় নদী জোটের আহ্বায়ক শারমিন মুর্শিদের সভাপতিত্বে রবিবার সমাপনি দিনের কর্মশালায় অতিথি বক্তা ছিলেন সিলেটের সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার আব্দুল করিম চৌধুরী কিম।
গ্রীন কক্সবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ এর গবেষণা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল ফারুক।
দুই দিনের কর্মশালায় সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের এডভোকেসি অফিসার মোঃ সাইদ হোসেন ও গ্রীন কক্সবাজার স্বাস্থ্য ও পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ফাইনান্স অফিসার উম্মে আলিয়া সুলতানা মুক্তা।