ঈদে সাইফউদ্দিন তার শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন। বিকেলে স্থানীয় সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ে সাবেক ছাত্রছাত্রীদের ঈদ পুনর্মিলনীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তাকে সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। সম্প্রতি তিনি বিয়ে করেছেন মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের সাহেরখালী গ্রামের কাজী রেফায়েত হোসেন ও সাহেদা চৌধুরীর মেয়ে কাজী ফাতেমা তুজ জারাকে।
জাতীয় দলের ক্রিকেটার, অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে মিরসরাইয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। রোববার বিকেলে উপজেলার সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের উদ্যোগে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। মিরসরাইয়ের জামাই বাংলাদেশ দলের এই ক্রিকেটারকে এক পলক দেখতে বিপুল সংখ্যক ক্রিকেটপ্রেমী মানুষ ভিড় জমায়। প্রথমবারের মত তার শ্বশুর বাড়িতে আগমন উপলক্ষে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ওসমান গনি। এইসময় বক্তব্য রাখের সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরী, সাহেরখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের উপদেষ্টা কামরুল হাসান এফসিএ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান মাহফুজ, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ডা. কামাল হোসেন, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সাংবাদিক শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সাইফুদ্দিন বলেন, অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না । একটু অন্যরকম, এর আগেও আসলে নানা কারণে অনেক সংবর্ধনা পেয়েছি। বিয়ের পর জামাই হিসেবে এই প্রথম শ্বশুরবাড়ি এলাকায় সংবর্ধনা পেয়েছি। সত্যি তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। অবশ্যই ভালো লেগেছে।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক ক্রিকেটারকে দলে সুযোগ পাওয়ার চেয়ে জায়গাটা ধরে রাখার জন্য পারফরম্যান্সের কোনো বিকল্প নেই। এর আগে একটা সিরিজে আমি খারাপ করেছি, সেজন্য বাদ পড়েছি। তো জাতীয় দলে টিকে থাকতে হলে পারফরম্যান্সের কোনো বিকল্প নেই। ফিটনেস আর পারফরম্যান্স ধরে রাখতে হবে।