আজ বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

জমকালো আয়োজনে পর্দা নামল ৯ দিনের ফুল উৎসব

ইলিয়াছ রিপন | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ০৭:৪২:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা নামল ফৌজদারহাটের পোর্ট লিংক রোড এলাকায় ডিসি পার্কে আয়োজিত ৯ দিনব্যাপী ফুল উৎসবের।

 

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

 

 

এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: আমিনুর রহমান এনডিসি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এই পার্ক নির্মাণে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক অত্যন্ত দৃঢ় এবং সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন।

 

তার উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। শুধু চট্টগ্রাম নয় সারাদেশে যেসকল খাস জমি বেদখল রয়েছে সেগুলো উদ্ধারের জন্য জেলা প্রশাসকদের দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। এই পার্ককে পরিবেশ বান্ধব ডিসি পার্ক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে এবং সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিটের কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সরোয়ার কামাল।  

 

সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এই ফুল উৎসবে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের জন্যই এ আয়োজন করা হয়েছিল। আপনাদের অংশগ্রহণে এই ফুল উৎসব পূর্ণতা পেয়েছে। আমরা সুদূর নেদারল্যান্ডস থেকে টিউলিপ বীজ এনে এই চট্টগ্রামের মাটিতে প্রথমবারের মত ফোটানোর চেস্টা করেছি। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমরা সফল হয়েছি। এখানে ১৯৪ একর খাস জনি বেদখল ছিল। আমরা উদ্ধার করে আপনাদের জন্য এই পার্ক করার চেষ্টা করছি।  

 

ফুল উৎসব সফল করার জন্য সীতাকুণ্ডের উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম, এনডিসি তৌহিদুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছেইন মোহাম্মদকে সম্মামনা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।  

 

পরে এই মেলা উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।  

 

সবশেষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঘুড়ি উৎসব, ফানুশ উৎসব, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।