কিডনীতে ক্ষত জনিত রোগে আক্রান্ত আদরের সন্তান বাঁধন চন্দ্র দাশ (১৫) কে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন অসহায় হত দরিদ্র পিতা ঝন্টু কুমার দাশ। ৩ ছেলে, স্ত্রী আর মা নিয়ে অভাবে সংসার ঝন্টু কুমারের। পেশায় নরসুন্দর (নাপিত)। ঝন্টু কুমার উপজেলার মিরসরাই সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মিঠাছরা গ্রামের ক্ষেত্র মোহন মাস্টার বাড়ির বাসিন্দা। স্থানীয় জামালের দোকান এলাকায় তার একটি সেলুন দোকান রয়েছে।
জানা গেছে, বাঁধন চন্দ্র দাশ স্থানীয় বিশ^দরবার উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণীতে বাণিজ্য বিভাগে পড়ে। ৫ বছর বয়স থেকে তার প্র¯্রাবে ইনফেকশান দেখা দেয়। প্র¯্রাব ঘন ও হলুদ বর্ণের হওয়া এবং কয়েক দিন পরপর বন্ধ হয়ে শরীরে পানি চলে আসে তার। এতে করে স্বাভাবিক ভাবে হাটাচলা করতে বাঁধনের কষ্টকর হয়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলে পুনরায় স্বাভাবিক হয়। ওষুধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ডাক্তার ভিজিট নিয়ে প্রতিমাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার চিকিৎসা বাবদ ব্যয় বাঁধনের জন্য। যা হতদরিদ্র পিতা ঝন্টু কুমারের পক্ষে বহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। আর্থিক অনটনের কারণে বিগত ২ মাস যাবৎ বাঁধনের বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে পিতা। এখন সে বাবার সাথে সেলুন দোকানে কাজ শিখে।
বাঁধন চন্দ্র দাশের পিতা ঝন্টু কুমার দাশ বলেন, আমার ছেলের প্র¯্রাবের সাথে অতিরিক্ত আয়রণ চলে যাওয়ায় শরীর ক্ষীণ হয়ে গেছে। নিজের জমানো টাকা, আত্মীয় স্বজন ও সমাজের বিত্তবানদের থেকে সহায়তা নিয়ে ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন আমার সহায় সম্বল বলতে কিছু নেই। বাঁধনের চিকিৎসা জন্য প্রতিমাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। চিকিসৎক বলেছেন তার কিডনীতে ক্ষত অথবা ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিডনী থেকে পুঁজ নিয়ে পরীক্ষা করানোর জন্য ১৬ হাজার টাকা লাগবে। আমার কাছে এখন ওই টাকাও নেই। চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. কামাল হোসাইন (জুয়েল) এর অধীনে তার চিকিৎসা চলছে। আমি আমার ছেলেকে বাঁচাতে চাই। সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা পেলে ছেলের চিকিৎসা চালানো সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
বাঁধনের চিকিৎসার জন্য সহায়তা করতে বিকাশ পারসোনাল ০১৮২৪৪৩৩৯৩৫ (পিতা- ঝন্টু কুমার দাশ) নাম্বারে সহায়তা পাঠানো যাবে।
মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাসমুল আলম দিদার বলেন, ঝন্টু কুমার দাশ একজন হতদরিদ্র পিতা। তার সন্তানের চিকিৎসার জন্য আমি মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে দিয়েছি। এছাড়া আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকেও সহায়তা করেছি। চিকিৎসার ব্যয় বেশী হওয়ায় পিতার পক্ষে একা তা নির্বাহ করা সম্ভব নয়। বাঁধনের চিকিৎসার জন্য তিনিও বিত্তবানদের সহায়তা চান।