আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চুরির অপবাদ দিয়ে চকরিয়ায় ইজিবাইক চালককে পিঠিয়ে হত্যা : আটক-১

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:২১:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন

কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপকূলীয় জনপদ বদরখালীতে জিসান (২৭) নামে এক টমটম  (ইজিবাইক) চালককে পিঠিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মহিউদ্দিন (৩৬) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

 

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরের দিকে নিহত  ইজিবাইক চালকের মরদেহ চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উদ্ধার করেন থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মানিক।

 

নিহত ইজিবাইক চালক জিসান বদরখালী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবনগর পাড়া এলাকার নাছির উদ্দীনের ছেলে। আটক মহিউদ্দিন একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবদিয়া পাড়ার আবু তাহের টুক্কুর ছেলে।

 

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, বদরখালী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের কুতুবনগর পাড়া এলাকার নাছির উদ্দীনের ছেলে ইজিবাইক চালক জিসান কুতুবদিয়া পাড়ার মো: ইউসুফের ছেলে রুবেলের কাছ থেকে টমটম ভাড়া নেয়। সোমবার রাতে জিসান টমটম গাড়িটি মালিক রুবেলকে রাতে বুঝিয়ে না দেয়ায় জিসানের ওপরে ক্ষুব্ধ হন। পরে টমটম গাড়িটি নিয়ে রুবেলের কাছে গেলে গাড়ি চুরি অপবাদ দিয়ে তাকে রুবেল ও মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন চালক জিসানকে বেধড়ক পিঠিয়ে গুরুতর আহত করেন। মঙ্গলবার দুপুরে আহত টমটম চালক জিসানকে রুবেলসহ কয়েকজন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ওই সময় বদরখালীতে দায়িত্বরত থানার উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে মহিউদ্দিন নামে এক যুবককে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বদরখালী থেকে আটক করেছে। পরে থানার ওসি নির্দেশে এস আই মানিকের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেন।

 

চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মানিক বলেন, হাসপাতালে একটি মরদেহ রয়েছে এ ধরণের খবর পেয়ে ওসি নির্দেশে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। নিহতের মরদেহে বিভিন্ন আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে তিনি জানান।##

 

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ইজিবাইক চালককে নিহতের ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো থানায় কেউ এজাহার দায়ের করেনি বলে জানান।