আজ সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ই পৌষ ১৪৩১

চুনতিতে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব!

জাহেদুল ইসলাম, লোহাগাড়া : | প্রকাশের সময় : বুধবার ১ জুন ২০২২ ০৯:৫৬:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম
লোহাগাড়ার চুনতি সতগড় এলাকায় পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটার নেতৃত্বদানকারী আহমদ ছগির প্রকাশ ফটো মৌলবী।

> উজাড় হচ্ছে বন।

> লোকালয়ে খাদ্যোর সন্ধানে বন্যহাতি।

> বন বিভাগের নীরব ভূমিকায়।

 

লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সাতগড় ছড়া এলাকায় গেল কয়েক বছর ধরে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বালু পাচার থেমে নেই। যার ফলে ধ্বংস হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। উজাড় হচ্ছে বনের গাছ-গাছালি। খাদ্যের সন্ধানে প্রতিদিন বন্যহাতি লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। প্রতিদিন শতশত মিনি ট্রাকে বিক্রি হচ্ছে বালু।

এদিকে, বালু উত্তোলন করায় পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি চলাচলের রাস্তার হয়েছে বেহাল দশা। বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার লোকজন গাড়ি নিয়েতো দূরে থাক, হেঁটেও চলাচল করতে কষ্ট হবে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সাতগড় এলাকায় সাতগড় ছড়া সংলগ্ন ডলু বন বিটের আওতাধীন পাহাড় কেটে ১০/১৫ স্পটে শ্যালো মেশিনের সাহায্যে অবৈধভাবে উত্তোলন করছে বালু। ভেঙে পড়ছে পাহাড়ের অংশ। আবার উত্তোলিত বালু অবাধে মিনি ট্রাকের মাধ্যমে পাচার করছে চক্রটি।

স্থানীয়রা জানান, পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন চুনতি সাতগড় নয়া পাড়া এলাকার ফকির আহমদের ছেলে আহমদ ছগির প্রকাশ ফটো মৌলবী। তার নেতৃতে ১০/১৫টি স্পটে পাহাড়ের পাদ দেশে শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রভাবশালী হওয়ায় তার ভয়ে কেউ মূখ খুলছে না। এ সব বালু উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ফলে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ক্ষমাতাসীন দলের চক্রটি পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন করে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করার জন্য তদবির করেন। পরে জব্দকৃত বালু নিলামে ক্রয় করে কৌশলে আবারো পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন করে পাচার করেন। তার পরেও থেমে থাকে না উত্তোলন ও পাচার। তবে, বনবিভাগের নীরবতাকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী।

বালু উত্তোলনের বিষয়ে আহমদ ছগির প্রকাশ ফটো মৌলভী জানান, উপর মহলকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছি। এখানে সাংবাদিকদের কোন কাজ নেই। পাহাড় কেটে কেন অবৈধভাবো বালু উত্তোলন করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বনবিভাগের লোকজন নিয়মিত এসে দেখে যান, সাক্ষাত করেন। কোন সমস্যাতো করলেন না।

পদুয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটা একটি বড় অপরাধ। পাহাড় কেটে বালু উত্তোলন করে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে ব্যাক্তি হোকনা কেন পাহাড় কাটলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।