আগামী ১৪ এবং ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে আরও একটি লঘুচাপের শঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা সর্বোচ্চ নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এ লঘুচাপটি তৈরি হলেও ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তিনি আরও বলেন, আগামী ১৬ বা ১৭ ডিসেম্বর লঘুচাপটি দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে। তবে বাংলাদেশে এর প্রভাব আসার সম্ভাবনা নেই। এ ছাড়া ডিসেম্বরের দিকে আমাদের এখানে পশ্চিমা বাতাসের জোর থাকার কারণে বেশির ভাগ লঘুচাপ বা নিম্নচাপ আসতে পারে না। তবে আমরা আশা করছি, এটি লঘুচাপ থেকেই বিদায় নেবে।
মো. ওমর ফারুক বলেন, আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। মাঝখানে সামান্য তাপমাত্রা কমলেও তা আবার বাড়বে। তবে আগামী ১৪ এবং ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের কিছু অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। তবে এটি উল্লেখযোগ্যভাবে আসবে না।
এছাড়া, রোববার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়া ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ রেকর্ড করা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সীতাকুন্ড ও শ্রীমঙ্গলে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থা তুলে ধরে এ আবহাওয়াবিদ জানান, তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ ও পরে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়। পরে এটি উত্তর অভ্যন্তরীণ তামিলনাড়ু এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ অভ্যন্তরীণ কর্ণাটক ও উত্তর কেরালা এলাকায় লঘুচাপ আকারে অবস্থান করে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।