আজ সোমবার ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ই পৌষ ১৪৩১

চন্দনাইশে ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর প্রথম দিনে সবাই বই পাবে না

মোঃ আয়ুব মিয়াজী, চন্দনাইশ | প্রকাশের সময় : শনিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:০৮:০০ অপরাহ্ন | দক্ষিণ চট্টগ্রাম

 

 

টানা ১১ বছর দেশে উৎসব করে বছরের প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু করোনার কারণে গত দুই বছর এই উৎসবে ছেদ পড়ে। করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকায় এবার নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।

 

এ উৎসবে ১ জানুয়ারি বছরের ১ম দিন চন্দনাইশে প্রাথমিক স্তরের প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষার্থী এবং মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থী নতুন বই পাবে। তবে প্রাক-প্রাথমিক, ১ম ও ২য় শ্রেণি, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাবে না। জানা যায়, চন্দনাইশে ৯১ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩৬ টি বেসরকারি প্রাথমিক স্তরের প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষার্থী নতুন বই পাচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ৩ শ্রেণির বই এখনো পাওয়া যায়নি, তবে শীঘ্রই চলে আসবে। বই আসলে এ সকল শ্রেণির বই বিতরণ করা হবে। উদ্বোধনী দিনে চন্দনাইশ সদর , গাছবাড়িয়া মডেল, বরমা উন্নতমান, মধ্যম কাঞ্চননগর হাজি আলী আহমদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অফিশিয়ালি বই বিতরণ করা হবে। অপরদিকে ২৬ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৬ টি মাদ্রাসায় একযোগে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হবে। তবে, ২ ক্যাটাগরিতে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাচ্ছে না। তাছাড়া মাধ্যমিকে ৮ম ও ৯ম শ্রেণিতে ৪ বিষয়ের বই পাচ্ছে না। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রতন কুমার সাহা বলেছেন, ২/১ দিনের মধ্যে বাকি বইগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে  দ্রুত বিতরণ করা হবে। উৎসবের দিন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণের পাশাপাশি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে চামুদরিয়া ইউনাইটেড ইনস্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়, হাশিমপুর মকবুলিয়া মাদ্রাসায় বই বিতরণ করা হবে বলে জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রাথমিকের প্রায় ৩৫ শতাংশ ও মাধ্যমিকের ২৪ শতাংশ বই ছাপা বাকি ছিল। তবে প্রাথমিকের অবশিষ্ট বইও ১০ জানুয়ারির মধ্যে উপজেলায় চলে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

সাধারণ জনগণ মনে করেন বিনামূল্যের বই বিশেষত গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র অভিভাবকদের জন্য এক বড় ধরনের স্বস্তি। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ সহায়তায় তাদের আর্থিক কষ্টের বোঝা অনেকটাই লাঘব হবে নিঃসন্দেহে।