চট্টগ্রাম চন্দনাইশ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ লোকমান হাকিম (২৬) ও দেশীয় তৈরি পেশাদার চোলাই মদ বিক্রেতা সুজন সর্দার প্রকাশ দুদু (৩২) নামক ২ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৯টায় উপজেলার চন্দনাইশ পৌরসভার উত্তর গাছবাড়ীয়া চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সড়ক ও জনপথ অফিসের সামনের রাস্তায় উপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার দিক থেকে যাত্রী বাহি মিনি বাস (রেজিঃ নং-চট্ট: মেট্রো-জ-১১-১১২৭) এর যাত্রী প্যান্টের পকেটে রক্ষিত লোকমান হাকিম এর থেকে ৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার ওজন ৩ শত গ্রাম এবং আনুমানিক বাজার মূল্য ৯ লক্ষ টাকা। গ্রেপ্তারকৃত মাদৃক ব্যবসায়ি লোকমান হাকিম কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার, টেকনাফ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ জালিয়া পাড়া (নরুল বশরের বাড়ী), বড় মসজিদের নিচে এলাকার নুরুল বশরের ছেলে। অপরদিকে, সকাল সাড়ে ৭টায় উপজেলার বরকল সড়কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরকল ইউনিয়নের চন্দনাইশ টু সাতঘাটিয়া পুকুরপাড় গামী সাথী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে ২০ (বিশ) লিটার দেশীয় তৈরী চোলাইমদসহ সুজন সর্দার প্রকাশ দুদু (৩২) নামে মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ হাজার টাকা। উল্লেখ্য যে, সুজন সর্দার প্রকাশ দুদু নামক আসামীর বিরুদ্ধে পূর্বে চন্দনাইশ থানায় ০৯টি মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সুজন সর্দার প্রকাশ দুদু চন্দনাইশ উপজেলার পূর্ব পাঠানদন্ডী (মহাজনঘাটা সরদার পাড়া) ৮নং ওয়ার্ডের মৃত ধনা সর্দারের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৩ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ২০ লিটার দেশীয় তৈরী চোলাইমদসহ ২ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় পৃথক মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এদিকে চন্দনাইশে নিয়মিত মাদক চালান ধরা পড়তেছে দেখে নানান জনের নানান কথা হচ্ছে, মাদকাসক্তি দেশের তরুণ সম্প্রদায় তথা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বড় হুমকি। মাদককে সকল অপরাধের মা বলা হয়। মাদক যেখানে রয়েছে, সেখানে অবৈধ অস্ত্র, চোরাচালান, নারী পাচার, ছিনতাই, চুরি-ডাকাতিসহ অন্যান্য অপরাধও বেড়ে যাচ্ছে বা দেখা যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্বশীল সৎ কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু অভিযান পরিচালনা করে কারবার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। মাদকের চাহিদা কমাতে পরিবার থেকে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যারা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে, সেসব প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করা যেমন বিশেষ প্রয়োজন, তেমনিভাবে আইনি ব্যবস্থাপনাকেও আধুনিক ও শক্তিশালী করা সংশ্লিষ্টদের সচেতন দায়িত্ব ও কর্তব্য।