দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে গেছেন সদ্য নিবন্ধিত দল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারি। চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে রীতিমতো তার ভরাডুবি হয়েছে। মাত্র ৩ হাজার ১৫১ ভোট পেয়েছেন তিনি। এতে বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার জামানত।
রোববার রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তার ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, আসনটিতে চট্টগ্রামের একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তিনি ১ লাখ ৬৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান তরমুজ প্রতীকে ৩৬ হাজার ৫৬৬ ভোট পেয়েছেন। আর ড.সাইফুদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারি পেয়েছেন মাত্র তিন হাজার ১৫১ ভোট। সেই হিসেবে জয়ী প্রার্থীর সঙ্গে সাইফুদ্দিন মাইজভান্ডারির ব্যবধান ৯৭ হাজার ৫৩৪ ভোটের।
এছাড়া জামানত হারানো অপর প্রার্থীরা হলেন (স্বতন্ত্র) ঈগল প্রতীকের মোঃ শাহজাহান পেয়েছেন ২ হাজার ২৬১ ভোট, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের (মোমবাতি) প্রার্থী পেয়েছেন ১ হাজার ৫৩৮ ভোট, ইসলামীক ফ্রন্ট বাংলাদেশের (চেয়ার) প্রার্থী মীর মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম পেয়েছেন ৫২৬ ভোট, স্বতন্ত্র (ফুলকপি) প্রার্থী মোঃ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ৩১১ ভোট, জাতীয় পার্টির(নাঙ্গল) প্রার্থী মো: শফিউল আজম চৌধুরী পেয়েছেন ২৫১ ভোট।
এই আসনে চৌদ্দদলীয় জোট নেতা তরিকতের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে টানা দু'বার এমপি ছিলেন। তাঁর দলীয় প্রতীক ফুলের মালা নিয়ে এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও শেষ মুহুর্তে এসে নৌকা প্রতীকের সনিকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যান। তবুও তার প্রতীকে পড়েছে ২৩১ ভোট।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো: মুজাম্মেল হক জানান,
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীকে তার আসনের মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ। এর চেয়ে কম ভোট পেলে ওই প্রার্থীর জামানত হারানোর বিধান আছে। সে হিসেবে দুইজন প্রার্থী বিধানমত ভোট পেয়েছেন। বাকি ৭জন প্রার্থী জামানত হারানোর নিয়ম।