চট্টগ্রাম: আব্দুর রহমানের বাড়ি আনোয়ারায়। প্রথমবার বিদেশ যাচ্ছেন।
তিনি একজন ই-পাসপোর্টধারী। তবে নতুন চালু হওয়া ই-গেইট সম্পর্কে ধারণা নেই তার। তাই গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে বুঝতে না পেরে এদিক-ওদিক তাকিয়ে দেখছেন।
ব্যাপারটি বুঝতে পেরে সাহায্যে এগিয়ে আসেন কর্মকর্তারা। তাদের সহযোগিতায় পাসপোর্ট এর বারকোড অংশ স্ক্যান করার সঙ্গে সঙ্গেই খুলে যায় প্রথম গেইট। পরের ধাপে পাসপোর্টধারীর মুখের ছবি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে স্ক্যান করা মাত্রই খুলে গেলো দ্বিতীয় গেইটও। সব মিলিয়ে সময় লাগলো ২০ থেকে ২৫ সেকেন্ড। এতেই সম্পন্ন হলো ইমিগ্রেশন।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাতে ই-পাসপোর্টধারীদের এমন অত্যাধুনিক সুবিধা দিতে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হয়েছে ৬টি ই-পাসপোর্ট গেট। এর আগে অত্যাধুনিক এ গেটটি উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম এ ধরনের গেট স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বিমানবন্দর এ সুবিধার আওতায় আসবে। ই-গেইট চালুর মাধ্যমে নতুন যুগে প্রবেশ করলো শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
প্রথম ধাপে বিদেশ ফেরতদের জন্য তিনটি এবং বিদেশগামীদের জন্য তিনটিসহ মোট ৬টি গেইট স্থাপন করা হয়েছে এখানে। ২০২০ সালে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ই-পাসপোর্ট যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। যা দক্ষিণ এশিয়াতেই প্রথম। এ পাসপোর্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী। এখন থেকে আন্তর্জাতিক যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভোগান্তিহীন যাতায়াত নিশ্চিত হবে।
বর্তমানে দেশের স্থল ও বিমানবন্দরের মধ্যে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে মোট ৩৮টি ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরও ১২টি ই-গেইটের কাজ।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক আবু সাঈদ বাংলানিউজকে বলেন, বিভিন্ন দেশের ভিসা পদ্ধতি ভিন্ন হওয়ায় যারা দেশের বাইরে যাবেন সেসব যাত্রীকে প্রথমে ম্যানুয়ালি কিছু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তবে ই-পাসপোর্টধারী যেসব প্রবাসী দেশে ফিরবেন তারা খুব সহজেই ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন।