গত ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ১১ টায় কর্ণফুলী উপজেলার খোয়াজনগরস্থ হল ২১ এর সম্মুখ রাস্তায় কিশোর গ্যাং এর ছুরিকাঘাতে আহত জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল ১৮ ডিসেম্বর শনিবার ৪.৪৫ মিনিটে মৃত্যু বরণ করে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম এর স্ত্রী নুরতাজ বেগম বাদী হয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর ১৪৩-৩২৬-৩২৩ ও ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করে। যাহার মামলা নং ৩০।
আসামীরা হলেন মোহাম্মদ রুবেল (২৪) প্রকাশ কাট্টা রুবেল পিতা- মোহাম্মদ নাছির, ইমরান (২২) পিতা-মোহাম্মদ মঞ্জুর, আলমগীর (২৩) পিতা- মোহাম্মদ দোলা, জুয়েল (২৪) পিতা-মোহাম্মদ আলী ড্রাইভার, মোহাম্মদ বকুল(২৪) পিতা- রমজান আলী, মোহাম্মদ শফি (২২) পিতা শমসু সহ ৮-১০ জন অজ্ঞাত নামা
তাদের সকলের বাড়ি কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যার ১ ও ৩ নং ওয়ার্ডে। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বলে কর্ণফুলী থানা সূত্রে জানা যায়।
আসামিদের গ্রেফতার পূর্বক ফাঁসির দাবীতে আজ ১৯ ডিসেম্বর (রবিবার) বিকাল ৩.৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহা-সড়ক অবরোধ করে চরলক্ষ্যার সাধারণ জনগণ। এসময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। দক্ষিণ জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইসলামের অনুরোধে সড়ক থেকে সরে যেয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেন অবরোধকারীরা।
কর্ণফুলী থানা ট্রাক, পিকআপ-মিনি ট্রাক চালক কল্যাণ সমিতির ব্যানারে সংগঠনের সভাপতি ছাবের অাহমদ বাবুল সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ ইকবালের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ, ছৈয়দ আহমদ, আনোয়ার শাহাদাৎ মোবারক, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, ওমর ফারুক বিজয়, শ্রমিক নেতা অাহমদ হোসেন অামু, কর্ণফুলী থানা ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, সহ -সভাপতি জাহাঙ্গীর অালম, অর্থ সম্পাদক অাহমদ নবী, সিএনজি সমিতির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর অালম, মোঃ অালমগীর অালম, অাজগর অাল পাপ্পু, মুন্নী অাকতার নিহত জাহাঙ্গীর আলম এর মেয়ে নুসরাত জাহান প্রমুখ।
এসময় নিহত জাহাঙ্গীর আলম এর মেয়ে নুসরাত জাহান কান্নায় সমাবেশের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে।
ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমেদ হত্যাকারীদের গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেট দিয়ে বলেন- এ কিশোর-যুব গ্যাংকে উচ্ছেদ করতে হবে, না হয় জাহাঙ্গীর আলমের মতো কয়েকদিন পর অন্যকে খুন হতে হবে। তিনি নিহত জাহাঙ্গীর আলম এর ৩ সন্তানের লেখা পড়ার দায়বার গ্রহণ করেন।
বাদে মাগরিব মরহুমের জায়নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।