চট্টগ্রামের মার্কেট ও শপিংমলগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাবেচা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিপণি বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না চট্টগ্রামের বিক্রেতারা। তামাকুন্ডি লেন বণিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা এখন বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। গত কয়েক দিন ধরে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদ ঘনিয়ে আসায় ক্রেতারা এখন শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় ব্যস্ত।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদ ঘনিয়ে আসায় সকাল থেকে নগরীর প্রত্যেক মার্কেটে রয়েছে ক্রেতাদের সরব উপস্থিতি। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিক্রেতারা বিরামহীন দেখিয়ে যাচ্ছে হরেকরকম ডিজাইনের কালেকশন। ক্রেতারাও আগ্রহের সঙ্গে সব ডিজাইন পরখ করে নিচ্ছেন নিজেদের পছন্দের ঈদ পোশাক। মধ্যবিত্তদের মার্কেট হিসেবে পরিচিত জহুর হকার্স মার্কেট ছিল ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত। একই অবস্থা তামাকুন্ডি লেন, বিপণি বিতান, চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্স, সানমার ওশ্যান সিটি, ফিনলে সেন্টার, আমিন সেন্টার, সেন্ট্রাল প্লাজা, ভিআইপি টাওয়ার, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, টেরিবাজার, নিউমার্কেট, আখতারুজ্জামান সেন্টারে। উচ্চ ও মধ্যবিত্তদের মার্কেটের পাশাপাশি ফুটপাথের দোকানগুলোতেও ঈদের কেনাকাটা জমজমাট। নগরীর ইপিজেড মোড়, নিউমার্কেট মোড়, জুবলি রোড, স্টেশন রোড, ষোলশহর, জিইসির মোড়, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাথের দোকানগুলোর বিক্রেতারা দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না। লোকে লোকরণ্য হয়ে ওঠা ফুটপাথের দোকানের ‘দেইখা লন, চাইয়া লন, এক দাম এক শ’ এমন হাঁকডাকে মুখরিত এসব এলাকা। শার্ট, প্যান্ট, শাড়ি, সালোয়ার, কামিজ, প্রসাধনীসহ সবকিছুই মিলছে এসব বাজারে। এমনকি ইমিটেশন থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে এসব মার্কেটে।
নিউমার্কেট মোড়ের ফুটপাথে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা হাফিজ উদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘দামি মার্কেটে গিয়ে পরিবারের জন্য কেনাকাটা করার সামর্থ্য নেই। তাই ফুটপাথ থেকেই কেনাকাটা করি। এখানে যাচাই-বাছাই করে নিতে জানলে অনেক ভালো কাপড় পাওয়া যায়। তাই আমাদের ভরসা ফুটপাথের দোকানগুলো।
সেন্ট্রাল প্লাজা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোস্তাক আহমদ বলেন, ঈদ অতি সন্নিকটে। তাই মার্কেটে ক্রেতাদের চাপ বেড়েছে। এবার আমরা নিত্যনতুন ডিজাইনের অনেক কালেকশন এনেছি। তাই ক্রেতারা পোশাক কিনে হাসি মুখেই বাড়ি ফিরছেন।