নগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে পাঁচটি পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। এসব স্থানে তাদের সঙ্গে একজন করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিও রয়েছেন।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে পোশাক গায়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের।
প্রাথমিকভাবে নগরের জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, ওয়াসা এবং লালখানবাজার এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ।
প্রয়োজনে তারা নিউমার্কেট এলাকায়ও কাজ করবেন বলে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
গত ৬ আগস্ট থেকে এক সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। পরে তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন রেড ক্রিসেন্ট-বিএনসিসি ও আনসার সদস্যরা। ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে অনন্য নজির সৃষ্টি করা শিক্ষার্থীদের মাঝে খাবার ও বোতলজাত পানি বিতরণ করেছে বসুন্ধরা শুভসংঘ। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও।
জিইসি মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য দায়িত্ব পালনকালে পথচারীরা তাদের স্বাগত জানান। অনেকে হাত মেলান এবং কোলাকুলি করেন।
আগ্রাবাদ এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. নোমান ও মো. সবুর বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা এক সপ্তাহ ধরে ভালোভাবেই ট্রাফিক ব্যবস্থা সামলেছে। তাদের নিয়ে গর্ববোধ করছি।
সেখানে তাদের রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান অজ্ঞাত রোগীর বন্ধু সাইফুল ইসলাম নেসার। তিনি বলেন, অনেকদিন পর রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ দেখে ভালো লাগছে। সবার কাছে অনুরোধ করছি-আপনারা পুলিশের পাশে থাকুন। পুলিশের প্রতি কেউ ক্ষিপ্ত হবেন না, তারাও এই দেশের মানুষ। বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশকে দরকার।
নগরের ওয়াসা মোড়ে দায়িত্ব পালনরত ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্ট বলেন, অনেকটা সময় পর আবার দায়িত্বে ফিরেছি। শিক্ষার্থীরা আমাদের সহায়তা করছেন।
এর আগে রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে দামপাড়া পুলিশ লাইনসের কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে। দুয়েক দিনের মধ্যে ক্রমান্বয়ে নগরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আগের মতো কাজ করবে। আমি দেখেছি, শিক্ষার্থীরা কঠোর পরিশ্রম করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। তাদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
তিনি আরও বলেন, নগরের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি পয়েন্টে তাদের সাথে একজন করে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিও থাকবেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শিক্ষার্থীদের ট্রাফিক বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। পুলিশ সদস্যরা পোশাক পরিহিত অবস্থায় দায়িত্ব পালন করবেন।