চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আহত অবস্থায় একটি শকুন উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়ন থেকে বিপন্নপ্রায় পাখিটি উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন শকুনটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এরপর সেটিকে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের দক্ষিণ খুরুশকুল এলাকায় হঠাৎ শুকুনটি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ভিড় জমায়। পাখিটি তখন উড়তে পারছিল না। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন সেটিকে নিয়ে যায়।
আনোয়ারা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র দাশ জানান, শকুনটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। এটির ওজন প্রায় ২০ কেজি। পাখিটি ১৪ মাস বয়সী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, স্থানীয়দের বরাতে খবর পেয়ে উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়ন থেকে একটি শকুন উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেটি চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হস্তান্তর করা হয়।
এক পরিসংখ্যান বলছে, স্বাধীনতার আগে পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশে ৫০ হাজারের মতো শকুন ছিল। ২০১৪ সালের শুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে শকুন রয়েছে ২৬০টি। প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন আইইউসিএন তথ্যানুযায়ী শকুন সংস্থাটির লাল তালিকাভুক্ত প্রাণী। প্রকৃতি থেকে কোনো প্রাণীর সংখ্যা যদি ৯০ শতাংশই হারিয়ে তাহলে সংস্থাটি সেটিকে লাল তালিকাভুক্ত করে থাকে।
উইকিপিডিয়া বলছে, শকুন তীক্ষ্ণ দৃষ্টির অধিকারী শিকারী পাখি। এটি মৃত প্রাণীর মাংস খেয়ে বেঁচে থাকে।