কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিজিবির বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচ জনে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় আহত অন্তত ৩ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চকরিয়ার চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের পরিদর্শক ইমন চৌধুরী জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের কলাতলী জিলানী পুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের করমুহুরীপাড়ার মৃত জানু মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৪) এবং একই ইউনিয়নের উত্তর হারবাং কলাতলী এলাকার আবুল বশরের ছেলে মো. হামিদুল্লাহ (২৯) ও একই এলাকার লাল মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩০), উত্তর হারবাং আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকার মোহাম্মদ সরওয়ারের মেয়ে নার্গিস আক্তার (১৩), কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ জানারঘোনা এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল (৩০)।
তবে আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার তথ্য জানালেও তাদের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। হতাহতরা সবাই লেগুনার যাত্রী ছিলেন।
স্থানীয়দের বরাতে ইমন চৌধুরী বলেন, শনিবার সকালে চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের কলাতলী জিলানী পুকুর পাড় এলাকায় কক্সবাজারমুখি বিজিবির একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা আমিরাবাদগামী লেগুনা গাড়ির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয়েছে অনন্ত ৮ জন। পরে স্থানীয়রা আহতদের মধ্যে ছয়জনকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অপর দুজনকে নিকটবর্তী লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এসময় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা দুইজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে সেখানে আনা ২ জনকে সকালে এবং ২ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়। আহত অপর দুইজন লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি পুলিশ জব্দ করেছে।
পরিদর্শক জানান, দুপুর ১টায় আহত দুইজনকে চকরিয়া থেকে চমেকে নেওয়ার পথে জাহাঙ্গীর আলম নামের একজন মারা যান। এছাড়া বিকেল ৩ টায় চমেকে নেওয়ার পথে পটিয়া এলাকায় নার্গিস আক্তার ও মোহাম্মদ রাসেল নামের আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ইমন চৌধুরী।