কক্সবাজারের চকরিয়ায় আল্লামা মাওলানাদেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর গাযেবেনা নামাজকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় ফোরকানুল ইসলাম (৬০) নামে এক বৃদ্ধ গুলিবৃদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। এসময় আরো ৮-১০ জন আহত হয়। আহতের একজনের অবস্থা গুরুতর হলে তাকে চমেক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন। ওই সময় কিছু উচ্ছৃঙ্খলা দুবৃর্ত্ত যুবক অতর্কিত ভাবে পুলিশ, হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৪ টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের মহাসড়কের বায়তুশ শরফ রাস্তায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ফোরকানুল ইসলাম চকরিয়া পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল বারী পাড়া এলাকার মৃত আবুল ফজলের ছেলে। সে ওই এলাকার স্থানীয় মুদির দোকানদার।
আহতরা হলেন, কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী এলাকার রশিদ আহমদের ছেলে ও চকরিয়া পৌর শহরের সার্জিক্যাল পণ্য ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিন (৪৮), চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়ারছড়াস্থ ভিলেজার পাড়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মনির উদ্দিন (২৮), একই উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের হাছিমার কাটা এলাকার এনামুল হকের ছেলে ও আমজাদিয়া রফিকুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র তৌহিদুল ইসলাম (১৬)। এছাড়া আরো ৫-৬ জন আহত হয়। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে তাদের নাম পরিচয় পাওয়া য়ায়নি। সংঘর্ষে নিহত ও আহতরা মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর গায়বেনা জানাযা পড়ে ফিরছিল।
জানাগেছে, চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর গায়বেনা জানাযা নামাজের নির্ধারিত সময় ছিল। নির্ধারিত জানাযা নামাজের ব্যাপারে প্রশাসনের অনুরোধে তা স্থগিত করা হয়। তবে অতি উৎসাহী কিছু জনতা বিকেল পৌনে চারটার দিকে লামার চিরিংগা পুরাতন জামে মসজিদ মাঠে সাঈদীর গায়েবেনা জানাযা নামাজ সম্পন্ন করেন। জানাযা নামাজ শেষে ফেরার পথে চকরিয়া পৌরশহরের প্রধান সড়কে পুলিশ ও প্রশাসনের গাড়ি দেখে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন থেকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করে ফিরছিলেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা ডা: শোভন দত্ত ও চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ। এতে হামলায় ডা: শোভন দত্ত গাড়ির থেকে দ্রুত নামিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। অপরদিকে এ ঘটনা দেখে থানার ওসিও গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। পরে ওসির গাড়িতেও হামলা ও ভাংচুর চালালে কয়েজন পুলিশ সদস্য এসে গাড়ি চালক আব্দুর রবকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
ঘটনার পরপরই আওয়ামী লীগের শতাধিক দলীয় নেতা-কর্মী শান্তি মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে জানাযা থেকে ফেরা উত্তেজিত লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় গুলিবৃদ্ধ হয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ কাছে জানতে তার ব্যবহৃত সরকারি মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া য়ায়নি।