কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইনানী রিসোর্ট এলাকায় ছুরিকাঘাতে লেগুনা গাড়ির চালক মিজবাহ উদ্দিন রিজভী খুনের ঘটনায় গতকাল সোমবার আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের মাতা চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মাইজকাকারা এলাকার নুরুল আমিনের স্ত্রী হাছিনা বেগম বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলাটি রুজু করেছেন।
মামলার এজাহারে কাকারা ফুলেরছড়া এলাকার দেলোয়ার হোসেন এর ছেলে নেজাম উদ্দিন, কাকারা পাহাড়তলী এলাকার মোহাম্মদ কালুর ছেলে আরিফুল ইসলাম, শাহ আলমের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাহাত, মাইজকাকারা এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে নাছির উদ্দিন, কাকারা মসজিদের রাস্তার মাথা এলাকার মোহাম্মদ নোমান এর স্ত্রী কোহিনুর ইয়াছমিন খুকি, কাকারা পাহাড়তলী এলাকার নুরুল আমিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন, চকরিয়া পৌরসভার কাজিরপাড়া গ্রামের টুকু মিয়ার ছেলে নুরুল আমিন ড্রাইভার ও কাকারা পাহাড়তলী এলাকার মৃত মোহাম্মদ কালুর ছেলে রফিককে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের এপিপি এডভোকেট মো. শহিদুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আদালতের বিচারক মো. জাহিদ হোসাইন বাদির দায়ের করা এজাহার আমলে নিয়ে আগামী তিনদিনের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চকরিয়া থানায় কোন মামলা রুজু হয়েছে কী না জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, গত ২৮ জুলাই শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে লেগুনা গাড়ির চালক রিজভীর মরদেহ কক্সবাজার চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইনানী রিসোর্টের অদূরে মাছের খাদ্য গুদামের বিপরীত সড়কের পাশে পড়ে থাকে। খবর পেয়ে পরদিন শনিবার সকালে চকরিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত মিজবাহ উদ্দীন রিজভী (২২)। চকরিয়া উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডস্থ মাইজকাকারা গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের পরিচয় নিশ্চিত করেন স্থানীয় কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন।
কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন বলেন, নিহত রিজভী ৪ বছর আগে বরইতলী থেকে সাবেকুন নাহার নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। এরপর সেখানে গাড়ি চালানোর সুবাদে হারবাং স্টেশন এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। তাদের সংসারে মোহাম্মদ সায়েদ নামের তিন বছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী সাবেকুন নাহার বলেন, সহকর্মী একজন গাড়ি চালকের সঙ্গে সামান্য টাকার লেনদেন নিয়ে আমার স্বামীর বিবাদ ছিল। এরই জেরেই রিজভীকে হত্যা করা হয়েছে।