কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাটজাত মোড়ক বাধ্যতামূলক করতে বিভিন্ন দোকান ও রাইচ মিলে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের সময় দোকানদার ও মিল মালিকেরা পাটজাত ব্যবহার না করে উক্ত আইন লঙ্ঘন করার দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে ৩৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বুধবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার হারবাং ও বরইতলী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেপি দেওয়ান। এসময় চট্টগ্রাম পাট অধিদপ্তরের মুখ্য পরিদর্শক পার্থ সারথী মুৎসুদ্দী অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান সূত্রে জানাগেছে, চকরিযা উপজেলার হারবাং ও বরইতলীসহ বিভিন্ন এলাকার দোকানদার এবং অটো রাইসমিল ব্যবসায়ীরা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত চাল নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে প্যাকেটজাত না করে অন্য প্রতিষ্ঠানের নামে চাউল প্যাকেটজাত করে বিক্রি করে আসছিল। এছাড়াও পণ্যে পাটজাত প্যাকেট ব্যবহার না করে কৃত্রিম মোড়ক ব্যবহার করেছেন, যা সংশ্লিষ্ট আইনের ধারায় লঙ্ঘন করার অপরাধে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। আইন লঙ্ঘন করার অপরাধে আদালত তিন প্রতিষ্ঠানকে ৩টি মামলার বিপরীতে ৩৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে জরিমানা আদায় করেন।
অভিযানের সময় চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও অটো রাইচমিল মালিকেরা পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করে কৃত্রিম মোড়ক ব্যবহার করে আসছিল। যা সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন,২০১০ এর (৩ জুন ২০১৩ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ১৪ ধারা অনুযায়ী তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ৩টি মামলার বিপরীতে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।