কক্সবাজারের চকরিয়ায় জন্মসনদ না দেয়ায় নব-নির্বাচিত ইউপি মেম্বারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ইউপি সচিব, গ্রাম পুলিশ ও উদ্যোক্তাসহ ৫ জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।
বুধবার (১৯জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন, ডুলাহাজারা ইউপি সচিব মো. হুমায়ুন কবির (৪০), ২ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মো. নাসির উদ্দিন (২৯), মো. রুবেল (২৫), আশরাফ উদ্দিন (৩৫) ও উদ্যোক্তা শাহারিয়া খান (৩৫)। স্থানীয়দের ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের (১,২,৩ নম্বর) ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী মেম্বার ওয়াহিদা সুলতানা হাসিনা বলেন, বুধবার দুপুর ১টার দিকে ডুলাহাজারা ইউপি সচিব নিজ কার্যালয়ে বসে কাজ করছিলেন। এসময় অতর্কিতভাবে এসে নব-নির্বাচিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রমজান আলীর নেতৃত্বে ২৫-৩০জন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে প্রথমে গ্রাম পুলিশ নাসির উদ্দিনকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এসময় তাদের বাধা দিলে অপর দুই গ্রাম পুলিশ ও উদ্যোক্তকেও পেটায় তারা। পরে ইউপি সচিবের কার্যালয়ে প্রবেশ করে সচিব হুমায়ন কবিরকে মারধর করে। ওই সময় সন্ত্রাসীরা ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন জিনিষপত্রও ভাংচুর করেন।
আহত ইউপি সচিব হুমায়ুন কবির বলেন, ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রাবিয়া বেগম তার মেয়ে হুমায়রা বেগমের জন্মনিবন্ধনের জন্য ইউপি কার্যালয়ে আসেন। তার জন্মনিবন্ধন না থাকায় তাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ভর্তি রেজিষ্টার ফটোকপি নিয়ে আনার জন্য বলা হয়। তিনি যথারীতি ভর্তি রেজিষ্টারের ফটোকপি সত্যায়িত করে দিলেও তাতে জন্ম তারিখ উল্লেখ নেই। এই কাগজ নিয়ে জন্মসনদ দেয়া যাবেনা বলেছি তাকে।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত ইউপি সদস্য রমজান আলীকে এ বিষয়ে জানায় হুমায়রার মা রাবিয়া বেগম। পরে তার নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী লাঠিসোটা নিয়ে পরিষদে এসে হামলা চালায়। এসময় ৩ গ্রাম পুলিশ, উদ্যোক্তা ও আমাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। ইউনিয়ন পরিষদে হামলার ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। তিনি পৌঁছে ঘটনার সার্বিক পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, ডুলাহাজারা ইউপিতে হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে আহত ইউপি সচিব, গ্রাম পুলিশ ও উদ্যোক্তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।