কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ বাবা-ছেলেসহ তিনজন মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুর ও সন্ধ্যায় তারা মারা যান বলে জানিয়েছেন ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএন-১৪ এর অধিনায়ক (এসপি) নাইমুল হক নাইম।
১২ মে ক্যাম্প-১ ডি/৪ ব্লকে নুরুল আলমের ঘরে এ (গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এরপর থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারা।
নিহতরা হলেন, ক্যাম্প-১ ডি/৪ ব্লকের আজগর আলীর ছেলে নুরুল আলম (৫৯), তার ছেলে আনোয়ার কামাল (১২) ও ক্যাম্প ১/ইস্ট, ব্লক ডি/৪'র আলী আহমেদের ছেলে হাফিজুল মোস্তফা (৭)।
১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নাইমুল হক জানান, ১২ মে কুতুপালং ক্যাম্প-১ ডি/৪ ব্লকে নুরুল আলমের ঘরে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। তার স্ত্রী চুলায় রান্না বসাতে গেলে চুলার পাইপে আগুন ধরে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। তাতে ঘরে ও আশপাশে থাকা ছয়জন দগ্ধ হন।
দগ্ধদের কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে বার্ন ইউনিটে তারা সবাই চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ অবস্থায় দুপুরে বাবা নুরুল আলম, বিকেলে ছেলে আনোয়ার ও সন্ধ্যায় অপরজন মারা যায় বলে জানানো হয়।
ক্যাম্প ১/ইস্ট, ব্লক ডি/৪ এর হেড মাঝি তৈয়ব জানান, উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে ১২ মে সকালে ক্যাম্প ১/ইস্ট এর ব্লক-ডি ৪ এ রোহিঙ্গা নুর আলমের ঘরে গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ হন নারী শিশুসহ ৬ জন রোহিঙ্গা। সকালে নুরুল আলমের স্ত্রী রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা জ্বালানোর চেষ্টা করেন। চুলার সমস্যার কারণে তাতে আগুন জ্বলছিল না। গ্যাস সিলিন্ডার চালু রেখেই দিয়াশলাইয়ের কাঠি দিয়ে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করেন। এতে আগে থেকে চালু থাকা গ্যাস রান্নাঘরে ঘনীভূত থাকার ফলে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরো রান্নাঘরে আগুন লেগে যায়।
এরপর দগ্ধ সবাইকে ক্যাম্পে এনজিও হাসপাতালে ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের সবাইকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাবা-ছেলেসহ তিনজন মারা যান।