সীতাকুণ্ডের কুমিরা–সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে নৌপথে চলাচলকারী ফেরির জন্য ঘাট নির্মাণের সাইট সিলেকশন ও সন্দ্বীপ প্রান্তে উপকূলীয় বন্দর ঘোষণার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বিআইডব্লিউটিএ সহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন প্রতিনিধি দল রবিবার সকাল ১০ টায় সীতাকুণ্ড কুমিরা ঘাটে ও বেলা ১২ টায় সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে সাইট পরিদর্শন শেষে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে মিলিত হয়। প্রসঙ্গত সন্দ্বীপে তিন লাখ আটাশ হাজার মানুষের বসবাস রয়েছে । এই বিপুল জনগোষ্ঠি জীবন বাজী রেখে নৌ পথে চলাচল করে। সন্দ্বীপ এবং সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন ঘাট ব্যবহার করে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী চলাচল করেন। চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সাথে সন্দ্বীপের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমই হচ্ছে এই নৌপথ। কিন্তু সুষ্ঠু কোন নৌ রুট বা অবকাঠামো গড়ে না উঠায় হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ প্রতিদিনই চরমে পৌঁছে। নৌডুবিতে প্রাণহানীর ঘটনাও কম ঘটেনা। ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৩ জন যাত্রী নৌ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে।
অবশেষে সীতাকুণ্ড–সন্দ্বীপ নৌ রুটের উন্নয়নের স্বার্থে ফেরি চলাচল শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। এজন্য নির্মিত হবে আধুনিক ফেরিঘাট। সীতাকুণ্ডের কুমিরায় ফেরিঘাট নির্মাণ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও সন্দ্বীপে ঘাট নির্মাণের জন্য সাইট সিলেকশন করা হয় রবিবার । সন্দ্বীপের ঠিক কোন পয়েন্টে ফেরিঘাট নির্মাণ করা যায় তার সম্ভ্যাবত যাছাইয়ের বিআইডব্লিউটিএ প্রতিনিধি ও সাইট সিলেকশন কমিটির আহ্বায়ক সহ কমিটির সদস্যরা স্পিড বোট করে গুপ্তছড়া ঘাটের বিভিন্ন স্হান ঘুরে দেখেন। বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন সাইট সিলেকশন কমিটির আহ্বায়ক বিআইডব্লিউটিএর(এস্টেট ও আইন) অতিরিক্ত পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দীন। তিনি জানান, গুপ্তছড়া-কুমিরা নৌ রুটটি হল প্রকৃতিক ভারসাম্যর উপর। বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে সন্দ্বীপের প্রবাসীদের আয়ের একটি বড় রেকর্ড রয়েছে তাদের অবদান কম নই। ফেরীর সাইট সিলেকশন করা ও নৌ যাতায়াতের দুর্ভোগের বিষয়ে মাননীয় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের নির্দেশে আমরা সাম্ভবতা যাচই করছি। এখানে আমাদের কাজ শেষ না। আমরা সিলেকশন করে নেয়ার পর বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টারা ভিজিট করবেন, উনারা তো ঘুরতে পারবেন না আমরা প্রাথমিক ভাবে চিত্র তুলে ধরছি।
এ সময় নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব ছন্দা পাল, বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ মোবারক হোসেন ও সবুর খান, বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহি প্রকৌশলী রেজাউল রশিদ খন্দকার, বিআইডব্লিউটিএর হাইড্রোগাফি বিভাগের সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ শরফুদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ (বন্দর ও পরিবহন) চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, উপপরিচালক নয়নশীল উপস্থিত ছিলেন।
ফেরীর সাইট সিলেকশন নৌ যাতায়াতের দুর্ভোগ সহ নানান বিষয়ে আরো কথা বলেন সিনিয়র সাংবাদিক সালেহ নোমান, মগধরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান কাউছার, নাছিরুল কবির মনির তালুকদার, সাবেক ছাত্র নেতা আশ্রাফ উদ্দিন জনি, সাবেক কাউন্সিলর জিএস আবুল বশার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন প্রতিনিধি , এডভোকেট সেকান্দর বাদশা, সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফয়সাল, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব সন্দ্বীপ শাখার সভাপতি ইলিয়াছ সুমন, সন্দ্বীপ রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মিলাদ মোদাচ্ছির ও শামসুল আজম মুন্না।