চলছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো কাপ্তাই বাজারেও আম, লিচুসহ হরেক রকমের মৌসুমি ফলের দেখা মিলছে। সেই সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে সুস্বাদু তালশাঁসও। প্রচণ্ড তাপ প্রবাহে বাড়ছে ফলটির কদর।
কাপ্তাই উপজেলার অলিগলি সহ বিভিন্ন বাজার এলাকায় মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে তালশাঁস। একটি শাঁস আকারভেদে ৪-৫ টাকা এবং একটি তাল ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি, আম ও লিচুসহ মৌসুমি অন্য ফলের ক্ষেত্রে বিষাক্ত ফরমালিন ব্যবহারের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কিন্তু তালশাঁসে এসবের প্রয়োজন হয় না। তাই ভেজালমুক্ত তালশাঁসের কদর বেশি। তালশাঁস বিক্রেতা রফিক বলেন, প্রতিবছরই এ সময়ে আমরা তালশাঁস বিক্রি করি। গরমের এ দিনে বিক্রিও হয় ভালো। দাম ভালো পাওয়া যায়। সারাদিনে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকার তালের শাঁস বিক্রি হয়। এতে এক হাজার টাকা মুনাফা হয়।
কথা হয় তাল ব্যবসায়ী মিঠুর সঙ্গে। তিনি বলেন, তালগাছ থেকে ফল কেটে আনা কষ্টকর বিষয়। অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে কেটে আনতে হয়। একটি গাছে ৫০০-৭০০টি তাল পাওয়া যায়। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তালশাঁস বিক্রি শুরু হয়েছে। আরও কিছুদিন চলবে।
তালশাঁস কিনতে আসা প্রবীন চাকমা বলেন, গরমের মধ্যে তৈলাক্ত খাবারের চেয়ে তালশাঁস অনেক উপকারী। এর অনেক গুণাগুণ রয়েছে। খেতেও সুস্বাদু।কাপ্তাই উপজেলার স্কাউট সম্পাদক মাহাবুব হাসান বাবু বলেন তালগাছের অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো এ গাছ বজ্রনিরোধক। স্কাউট সদস্যদের নিয়ে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় তালগাছ রোপণ করা অব্যাহত আছে।
স্থানীয় চিকিৎসক সোমেন দত্ত বলেন, তালশাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। গরমের দিনে তালশাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানিশূন্যতা দূর করে। এছাড়া ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালশিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান রয়েছে।
তিনি বলেন, তালে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কচি তালশাঁস রক্তশূন্যতা দূর করে। চোখের দৃষ্টিশক্তি ও মুখের রুচি বাড়ায়।