রবিবার সকাল সন্ধ্যা হরতাল ডেকে মাঠে নেই বিএনপি-জামায়াত। দূরপাল্লার বাস ছেড়ে না গেলেও অভ্যন্তরীণ সড়কে ছোটখাটো যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হরতালের বিরুদ্ধে মাঠে অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সকাল সাড়ে দশটা পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা গ্রেফতারের খবর পাওয়া যায়নি।
হরতালের সমর্থনে সকালে শহরের বার্মিজ মার্কেট ও আলীর জাহালসহ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল দেখেছে এলাকাবাসী।
রবিবার ভোরে বার্মিজ মার্কেট, চন্দ্রিমামাঠ, আলির জাহালসহ কয়েকটি এলাকায় হরতালের পক্ষে টায়ার জালানোর খবর এসেছে।
পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর ইসলাম জানান, হরতালের নামে যেকোনো নৈরাজ্য প্রতিরোধে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। টহলের পাশাপাশি বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ সদস্যরা। এই পর্যন্ত শহরের কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে, কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে রবিবার সকাল থেকে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। খুলেনি কাউন্টার। লোকসমাগম নেই বললে চলে। আতঙ্কের কারণে মানুষজন ঘর থেকে তেমন বের হয়নি। সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা।
তবে, বেলা যত গড়াচ্ছে দোকানপাট ততই খুলছে। হরতালকারীরা মাঠে না থাকলেও সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক রয়ে গেছে। বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা কৌশলে গা ঢাকা দিয়ে আছে।