কক্সবাজার শহরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভে গুলি বর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের হুইপ ও কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শাল, পৌর মেয়র মো. মাহাবু্ুবুর রহমান চৌধুরীসহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ আগষ্ট) থানার পুলিশ উপরিদর্শক (এস আই) মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
যার থানা মামলা নং-১১/২৪।
এই মামলায় এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মইনউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন সেতু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ইশতিয়াক আহমদ জয়, সদরের খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহজাহান সিদ্দিকী এবং পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান তারেক।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুজ্জামান।
মামলার বাদি এসআই মো. সেলিম মিয়া এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৪ আগষ্ট দেশব্যাপী সরকারী চাকুরীর কোটা সংস্কার আন্দোলন উপলক্ষ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ছাত্রজনতা লিংক রোড এলাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ সমাপ্ত করেন। সমাবেশ শেষে বিভিন্ন এলাকায় যাওয়ার প্রাক্কালে সমাবেশের কিছু ছাত্রজনতা পৌরসভার ঘুম গাছতলা তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত গলি বর্ষণ করে। এতে অজ্ঞতনামা একজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে হাসপাতালে সে মারা যায়।
ঘটনার সঙ্গে এজাহারভুক্ত ব্যক্তিগণসহ অন্যান্যরা সরাসরি জড়িত বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা জানিয়েছে, নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর সশস্ত্র হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। শান্তিপূর্ণ কক্সবাজারকে কারা অশান্ত করেছে, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটিয়েছে তা জনতা দেখেছে। সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার দাবি তাদের।