আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কক্সবাজারে কউক’র নতুন ভবনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: | প্রকাশের সময় : বুধবার ১৮ মে ২০২২ ১২:১১:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

 জেলার সবচেয়ে আধুনিক কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) নতুন ১০ তলা ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

বুধবার (১৮ মে) সকাল ১১টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে এই ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

 

কক্সবাজারে বাহারছড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এরই মধ্যদিয়ে দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিজ কার্যালয়ে যাত্রা শুরু হয়েছে।

 

এর আগেই আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ভবনটির পুরো কাজ শেষ করে বুঝিয়ে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কক্সবাজারের পর্যটন, সমুদ্র সম্পদ ও ব্যবসা-বাণিজ্যকে ঘিরে সরকারের বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এই পরিকল্পনার ভেতরে ২০১৬ সালে কক্সবাজারে যাত্রা শুরু করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক)। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন কউক চেয়ারম্যান লেফট্যানেন্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমেদ।

 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, একই মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার।

 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, জেলা প্রশাসক মো. মানুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান প্রমুখ।

 

কউক চেয়ারম্যান জানান, নানা সংকট-সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে ৬ বছরের মধ্যে কউক নিজস্ব ভবনের কাজ শেষ করতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় কউকের ভবনসহ বড় উন্নয়ন কাজগুলো সম্ভব হচ্ছে।

 

তিনি বলেন বলেন, সরকার কউক ভবন নির্মাণের জন্যে ১ দশমিক ২১ একর জমি বরাদ্দ দেয়। এরপর ২০১৭ সালে এই জমিতে ১০ তলা স্থায়ী কার্যালয় নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ১১৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

 

গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এনডিই লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পর ৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা বেঁচে গেছে। ইতিমধ্যে এই টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানান কউক চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ।

 

কউক চেয়ারম্যান ফোরকান আহমেদ জানান, প্রাক্কলিত মূল্য থেকে কয়েকটি আইটেমে অতিরিক্ত খরচ কর্তন করে এই টাকা বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এতে কাজের গুণ ও মানের কোনো সমস্যা হয়নি।