কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ১ নং ওয়ার্ডের জেলগেটের বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত মোহাম্মদ ইউনুছকে ছাড়ছে না অভিযোগ। মেম্বার হওয়ার পরেও বদলায় নি আগের চরিত্র। থামে নি তার সেই অপকর্ম। লালন করছে অপরাধী চক্র। আইনের লোক হয়েও অমান্য করছে আইন। তার নেতৃত্বে চলছে বেপরোয়া দখলবাজি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জেলগেটে কেউ জায়গা জমি কিনলে ইউনুছকে চাঁদা দিতে হয়। না দিলে নানাভাবে হয়রানি করে। জনপ্রতিনিধি হওয়ায় এসব অপরাধকর্মের প্রতিবাদের সাহস করেনা স্থানীয় বাসিন্দারা। এককালের 'ইউনুছ ডাকাত' এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ভুক্তভোগীদের। শহরের টেকপাড়ার ছালেহা আকতার নামক এক মহিলা জানান, নুরুল আমিন গং থেকে ২০০১ সালে রেজিঃ বায়নানামামূলে তিনি ৫ একর ৩০ শতক জমি কিনেন। যার বিএস খতিয়ান নং-২১৯। ওই জমিতে ছনখেত, পানের বরজসহ বিভিন্ন জাতের বনজ গাছ রোপন করেন। কিছু খালি জায়তাও রয়েছে। জমির মালিক পক্ষের অনুপস্থিতির সুযোগে কুনজর পড়ে মেম্বার ইউনুছের। রোহিঙ্গা শ্রমিক ও স্থানীয় সন্ত্রাসী পাহারা বসিয়ে কয়েকদিন ধরে বসতঘর নির্মাণ করতে থাকে। উল্টো মালিক পক্ষকে হুমকি প্রদান করে। দখলবাজিতে ব্যবহার করছে নারীদের। খবর পেয়ে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে শফিকা (২৭) নামের নারীসহ ২ জনকে আটক করে পুলিশ। তবে, অভিযানের আগেভাগে সটকে পড়ে কথিত সোর্স ও এককালের প্রসিদ্ধ ডাকাত ইউনুছ। অভিযুক্ত ইউনুছের বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ডজনকধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুহাম্মদ ইউনুছ বলেন, আমার জায়গায় আমি ঘর করেছি। কারো জায়গা দখল করিনি। পুলিশকে ভুল তথ্য দিয়ে আমার শ্যালিকাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) এস.এম শাকিল হাসানকে দোষারোপ করেন মুহাম্মদ ইউনুছ। এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, অপরজনের মালিকানাধীন জমি দখলের অভিযোগে এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।