কক্সবাজার শহরের এসএম পাড়ার বাসিন্দা ও জেলা বারের আইনজীবী জুবাইরুল ইসলামের বসতবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) মামলাটি রেকর্ড হয়। যার থানা মামলা নং-৩০/২২। জি.আর মামলা নং-৭২৯/২২। মামলার দুই আসামির মধ্যে মূল হোতা শফি উল্লাহ (৪৫)কে বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেপ্তার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। সে রামু চাকমারকুল শাহমদের পাড়ার মৃত সোলাতান আহমদের ছেলে। মামলা রেকর্ড ও আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. নাজমুল হুদা। এর আগে ১৬ নভেম্বর কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-১ এ ফৌজদারি দরখাস্ত করেন ভুক্তভোগী ওয়াহিদুজ্জামান রাজিব। যার নং-সিআর-১০৪২/২২। আবেদন শুনানি শেষে তা 'এফআইআর' হিসাবে গ্রহণ করে আদেশ প্রাপ্তির ৩ দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করতে সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন বিচারক মোহাম্মদ আবুল মনসুর সিদ্দিকী। মামলার বাদী ওয়াহিদুজ্জামান রাজিব একই এলাকার আমানুল হকের ছেলে এবং এডভোকেট জুবাইরুল ইসলামের মামাতো ভাই। গত ১৩ নভেম্বর সকালে তাদের বসতভিটা দখলের উদ্দেশ্যে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এডভোকেট জুবাইরুল ইসলাম বলেন, শফিউল্লাহ জমি সংক্রান্ত বিষয়ে নুর নাহার বেগম গং এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। যার মামলা নং ৯৭/২০২২। একই বিষয়ে পাল্টা মামলা করেন রেজিয়া বেগম। মোঃ শফিউল্লাহর এই মামলার আসামি। যার নং ১৭২/২০২২। মামলাটি আমলে নিয়ে শফিউল্লাহর মামলা খারিজ করে দেয় আদালত এবং দুটি একই মামলা হওয়ার কারণে এবং ৯৭/ ২০২২২ মামলা ও ১৭২/২০২২২ মিলে একটি রায় ঘোষনা করে। বিবাদী শফিউল্লাহকে গত ১ সেপ্টেম্বর চুড়ান্ত বারিতপূর্বক মামলার নিস্পত্তি করার আদেশ দেন বিচারক। এডভোকেট জুবাইরুল ইসলামের মামা আজিজুল হক বলেন, 'আমি শফি উল্লাকে কোন ধরনের জমি বিক্রি করি নাই। গায়ের জোরে সে জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। দখলবাজ ও সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়েছে।' তিনি বলেন, 'আমি শাহ আলম বাবুল নামের একজনকে ২৮কড়া জমি বিক্রি করি, যা ২০১১ সালে আমি দখল বুঝিয়ে দিয়েছি। শফিউল্লাহর কোন ধরনের লেনদেন না থাকার পরেও আমাদের পরিবারের জমি দখল নিতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।'