কক্সবাজারের মহেশখালীর আলোচিত মাহিয়া নামের ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বুধবার (২ আগস্ট) কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক নুরে আলমের আদালতে প্রথম সাক্ষী দিয়েছেন মামলা বাদী, ভিকটিমের পিতা আয়াত উল্লাহ।
বাদীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে আলোচিত এই মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটির শুনানি করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর সৈয়দ মোঃ রেজাউর রহমান রেজা। এ সময় একমাত্র আসামি মোঃ সোলাইমান (২৬) উপস্থিত ছিলেন। তিনি টেকনাফ হোয়াইক্যংয়ের ১ নং ওয়ার্ডের চাকমারকুলের বাসিন্দা মৃত সৈয়দ করিমের ছেলে।
মাহি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাইরার ডেইল এলাকার আয়াত উল্লাহর মেয়ে ও দক্ষিণ সাইরার ডেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
গ্রেফতারের পর মোঃ সোলাইমান পুলিশকে জানায়, গত ৩০ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে মাহিয়া স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর দুপুর ২টার দিকে খেলতে বের হয়। এ সময় বাড়িতে স্ত্রী না থাকার সুযোগে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে ভাড়া বাসায় নিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এতে মাহি অজ্ঞান হয়ে পড়লে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাগেজের ভেতর ঢুকিয়ে রাতের অন্ধকারে অটোরিকশায় করে পার্শ্ববর্তী পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ারদিয়া এলাকায় লবণমাঠে ফেলে দেয়। এর পরও সোলাইমান স্বাভাবিকভাবে মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ করে আসছিল।
এরই মধ্যে লবণমাঠে শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পেকুয়া থানা পুলিশ মাহির পরিচয় শনাক্ত করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মোঃ সোলাইমান গোপনে মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে কাজ নেয়। এরপর বিয়ে করে ১৯ অক্টোবর সে মাহির চাচার বাসা ভাড়া নেয়। সেখানে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করছিল। মাহি নিখোঁজের পর অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করে পুলিশ। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে মোঃ সোলাইমান স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার হয়।
মাহিকে অপহরণের ঘটনায় পিতা আয়াত উল্লাহ ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর মহেশখালী থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। পরে ৩ ডিসেম্বর থানায় মামলা রেকর্ড হয়। যার জিআর মামলা নং-২৯৪, নারী মামলা নং-১১৮/২৩।
গত ৭ জুন মামলার একমাত্র আসামি মোঃ সোলাইমানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোঃ তাজ উদ্দিন।