নুরজাহান, আলেয়া, নাছিমা— একই গ্রামের বাসিন্দা। অনেক কষ্টে চলে সংসার। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে রমজান মাসে অবস্থা আরও নাজুক। খেয়ে বা আধপেটা খেয়ে দিন চলছে তাদের। এমন করুণ পরিস্থিতিতে ২য় রমজানে এম রিদোয়ান কবির মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ইফতারে পেয়ে মলিন চেহারায় তৃপ্তির হাসি বলে দেয় কতটা খুশি তারা! শনিবার (২৫ মার্চ) চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে এম রিদোয়ান কবির মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ইফতারে পেয়েছেন এইরকুম আরো ১ হাজার অসহায় পরিবার। এম রিদোয়ান কবিরের স্মৃতিতে প্রতিবছরের মত এবারও দেওয়া হয়েছে এই সহায়তা।
ইফতারের মধ্যে ছিলো, ছোলা, মুড়ি, ছেঁড়া, চিনি, সয়াবিন তেল। বিজ্ঞাপন ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মরহুম মোহাম্মদ রিদোয়ান কবির মিয়াসাবের পিতা আলহাজ্ব মাস্টার শামসুল আলম, মরহুমের স্ত্রী ও সমাজসেবিকা রাশেদা আক্তার মুন্নী, ছোট ভাই মিরসরাই সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমরান উদ্দিন, মিরসরাই সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সহ পরিবারের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মরহুমের ছোট ভাই মিরসরাই সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে আমার বড় ভাই মোহাম্মদ রিদোয়ান কবির মিয়াসাব এলাকার মানুষ দরিদ্র মানুষের পাশে ছিলেন। তখন থেকে এলাকার মানুষদের মাঝে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতো।
২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট ঢাকায় যাওয়ার পথে মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। তার এ কাজটি আমরা চলমান রেখেছি। রমজানে ইফতার সামগ্রী, ঈদ উপহার, গরিব মেয়ের বিয়ের জন্য আর্থিক সহায়তা ও আর্থিক অবস্থা অস্বচ্ছল পরিবারদের মাঝে এম রিদোয়ান কবির মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে সহযোগিতা করে আসছি। বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট (দ্বিতীয় রমজান) ঢাকা যাওয়ার পথে কুমিল্লার বুডিচং থানা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান সমাজ সেবক, রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ রিদোয়ান কবির প্রকাশ মিয়া সাব।
সে থেকে এম রিদোয়ান কবির মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে এলাকায়, খেলাধুলা, অসহায়, দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়েতে আর্থিক সহায়তা সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিরতণ করে আসছে। রিদোয়ান কবির জীবদ্দশায় বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও উপজেলাব্যাপী ক্রীড়া ও সামাজিক কর্মকান্ডে ব্যাপক অবদান রেখে গেছেন। যা আজও মানুষের মাঝে স্মৃতি হয়ে আছে।