আজ সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

এক সপ্তাহে অর্ধেকে নেমেছে লবণের দাম

ইমাম খাইর, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১০:৪৭:০০ অপরাহ্ন | কক্সবাজার প্রতিদিন
মিল সিন্ডিকেটের কারণে হঠাৎ লবণের দরপতন, ক্ষুব্ধ তৃণমূল চাষীরা

 

সপ্তাহ দেড়েক আগেও মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম ছিল মণপ্রতি সাড়ে চারশ থেকে ৫০০ টাকা। উৎপাদনও যথেষ্ট সন্তোষজনক। কিন্তু হঠাৎ করে লবণের দরপতন ঘটেছে। ঠেকেছে ৩৪০ থেকে ২৬০ টাকায়। এতে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে মাঠ পর্যায়ে। ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ এবং হাতাশাগ্রস্ত। তারা বলছে, মিল সিন্ডিকেটের কারণে লবণের দরপতন ঘটেছে। চিহ্নিত কিছু রাঘব বোয়াল তাতে জড়িত। লবণের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না করলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে মনে করছে স্থানীয়রা। মাঠ ছেড়ে যাবে লবণ চাষীরা। লবণচাষীদের দাবি, মাঠে মণপ্রতি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। না হলে তাদের পোষাবে না। তাদের মাঠে টিকে থাকা দায় পড়বে। এদিকে, অসাধু মিল মালিক সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্র বন্ধ ও দেশীয় লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি দিয়েছে কক্সবাজার লবণচাষী ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদ। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চকরিয়ার একটি কনভেনশন হলে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কক্সবাজার লবণচাষী ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মকছুদ আহমদ কোম্পানির সভাপতিত্বে জরুরি সভায় জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়ব, বদরখালি ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোছাইন আরিফ, সাবেক চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন লবণ ব্যবসায়ী মৌলভী শহিদুল ইসলাম, জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী, মিজানুর রহমান চৌধুরী, সরওয়ার আলম, সাবের আহমদ, দলিলুর রহমান, আনিছুর রহমান, মৌলবী সেলিম উদ্দিন, জাফর আলম এমইউপি, সিরাজুল মোস্তফা, নজরুল ইসলাম, নুরুন্নবী, শামসুল আলম, রমজান আলি, আলি হোছাইন, ফজল কাদের, রমজান আলী, আজম, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল হোছাইন, নজরুল ইসলাম, নুরুল আজম, মুজিবুল হক, এখলাছুর রহমান, শামসুল আলম, আবদুল খালেক, রফিকুল ইসলাম, আমির হোছাইন, মিজবাহ, হারুনর রশিদ, মোহাম্মদ সোয়াইবুল ইসলাম সবুজসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ লবণের দরপতনের সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। দেশীয় বাজার ধ্বংস করতে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি সর্বস্তরের লবণচাষিদের। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত না হলে অচিরেই লবণ সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি মকছুদ আহমদ কোম্পানি। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ আগে মাঠে ছিল মণপ্রতি ৫০০ টাকা। মিল পর্যায়ে ৫৭০ টাকা। বর্তমানে মাঠে ২৬০ টাকা। মিলে ৩৪০ টাকা। হঠাৎ এমন দরপতন মেনে নেওয়া যায় না। ন্যায্যমূল্য না পেলে লবণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।