কক্সবাজারের উখিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে লুল আল মারজান(৪৫) নামে এক নারী নেত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার পশ্চিম পালংখালী ৭ নং ওয়ার্ডে মারজানের নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত মারজান, উখিয়ার পালংখালী এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মৃত মোহাম্মদ আলমগীরের মেয়ে । তিনি পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক প্রতিনিধি ও ৭,৮,৯ ওয়ার্ড থেকে গত দুইটি ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ ইউসুফ নিহত মারজানের আপন চাচাত ভাই। মারজানের ছোট মেয়ে রাহমিনা মমতাজ জানায়, এশার নামাজের পর তাদের বাড়িতে অতর্কিত প্রবেশ করে ইউসুফ তার মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
রাহমিনা আরো জানায়, এসময় উপস্থিত তার দুই বোন ও এক ভাগ্নে ও ইউসুফের কুপের আঘাতে আহত হয়।
১৯৯৯ সালে মারজানের পিতা আলমগীর মেম্বার কে হত্যা করে এই ইউসুফের পিতা জাহাঙ্গীর।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হক জানান, ” জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মারজান ও ইউসুফের পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। ২৪ বছর আগে মারজানের পিতার হত্যাকান্ডে জড়িত ছিলো ইউসুফের পরিবার।”
উখিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ” নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িতদের আটক করতে কাজ করছে পুলিশ।”
এদিকে, হত্যাকান্ডের পর বিক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত ইউসুফের বাড়িতে আগুন দেয় স্থানীয় জনতা। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, খুনী ইউসুফ চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারী অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে আটক হয়ে দুই মাসের মাথায় জামিনে বের হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও অ্যামুনেশন তৈরীর কারখানা নির্মাণের মাধ্যমে দেশীয় অস্ত্র তৈরি করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের মাঝে সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। এবং সে কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত ও ইয়াবা ব্যবসায়ী নবী হোসেন এর আপন চাচাতো বোনের স্বামী।